Header Ads Widget

test

জোৎস্না_বিলাসী


জোৎস্না_বিলাসী
নাহিদা_আক্তার
পর্ব :০৯
সকালের এক ফালি মিষ্টি রোদ পর্দা ভেদ করে প্রবেশ করছে আরিশের বিলাস বহুল বেড রুমে। নিজ বিছানায় উপুড় হয়ে শুয়ে ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে রয়েছে আরিশ। গায়ে জড়ানো কম্বলটা কোমর অবধি টেনে দেওয়া। গভীর ঘুমে বিভোর সে। বোঝাই যাচ্ছে প্রতি সকালের মতো আজও ১০ টার আগে বিছানা ছাড়বে না সে। নিজের আরামের ঘুম সম্পন্ন করতে ব্যস্ত সে।
কিন্তু তার আরামের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটলো তখন! যখন কারো কান্নার শব্দ কানে আসতে লাগলো। ঘুমের মধ্যেই কপাল কুঁচকে এলো আরিশের। বিরক্তি নিয়ে পিট পিট করে অনেক কষ্টে চোখ মেলল।কান খারা করে বোঝার চেষ্টা চালালো শব্দের উৎস কোথা থেকে হচ্ছে ।
যখন বুঝলো নিচ থেকে বেশ শোরগোল শোনা যাচ্ছে।
_"সকাল সকাল এতো চিল্লাচিল্লি কিসের?"
নিজের আরামের ঘুমের ইতি টেনে উঠে বসলো আরিশ। গায়ে জড়ানো কম্বলটাকে এক ঝটকায় সরিয়ে দিয়ে উঠে দাঁড়ালো। তারপর চট জলদি নিজের রুম হতে বেরিয়ে এলো।
সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামতেই চোখ গেলো সোফার উপর বসে থাকা কান্নারত আমেনার দিকে। তার পাশেই বসে রয়েছে তানিয়া যে আমেনাকে শান্ত করার চেষ্টায় আছে। তাদের থেকে কিছুটা দূরত্বে হাতে একটা কাগজ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে রোশনি বেগম। যার মুখের ভঙ্গিমা অন্য দিনের তুলনায় কিছুটা অস্বাভাবিক। কেমন যেনো গম্ভীর হয়ে আছে।
হঠাৎ কি এমন হলো যে আমেনা এভাবে কান্না করছে?
বিষয়টা বোধগম্য হলো না আরিশের। এগিয়ে গেলো তাদের সম্মুখে কন্ঠে কৌতুহল নিয়ে শুধাল।
_"কী হয়েছে?"
উত্তর দিলো না, আমেনা আগের ন্যায়ই কান্না করছে। আমেনার হতে উত্তর না পেয়ে চোখ ঘুরিয়ে তানিয়ার মুখ পানে চাইলো। তানিয়ার দৃষ্টি ভীত।
রোশনি বেগম যে তাকে দেখা মাত্রই দৃষ্টি কঠোর করে ফেললেন। তা দৃষ্টি এড়ালো না তার।
অপেক্ষায় রইলো নিজের করা প্রশ্নের উত্তরের জন্য। যখন কারো কাছ থেকে কোনো প্রকার উত্তর পেলো না। তখন বিরক্ত হলো আরিশ।
কন্ঠে বিরক্তির রেশ টেনেই বলল।
_"কি হলো সবাই কি বোবা হয়ে গেছো নাকি? আমি কিছু জিজ্ঞেস করছি নাকি? এই তানিয়া! তুই বল কি হয়েছে আমেনা আন্টি কান্না করছে কেনো।"
তানিয়ার হতে উত্তর পাওয়ার আশায় চেয়ে থাকলো। তানিয়া ভাইয়ের উদ্দেশ্য মুখ খুলতে যাবে, তার আগেই নিজের কান্নারত কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলে উঠলেন আমেনা।
_"আরিশ আমার বাচ্চা মেয়েটা..."
নিজের কথা শেষ না করেই ডুকরে উঠলেন আমেনা।
কথাটা ঠিক মাথায় ঢুকলো না আরিশের।
রিদি! মাথায় আসলো আমেনা রিদির জন্য কান্না করছে?
আমেনার এই অসমাপ্ত কথা যেনো আরিশের মনে ভয়ের বাসা বাঁধার জন্য যথেষ্ট ছিলো। মনে প্রশ্ন জাগলো কি হয়েছে রিদির? আমেনা আন্টি কি রিদির জন্য কাঁদছে? অধৈর্য হয়ে পড়লো সে। তাড়া দিয়ে বলে উঠলো।
_"কি হয়েছে রিদির?"
এবারো সব নিস্তব্ধ কি এই নিস্তব্ধতা সহ্য হলো না আরিশের গর্জে উঠল সে।
_"কি হয়েছে রিদির!!"
_"রিদি এ বাড়ী ছেড়ে চলে গেছে আরিশ"
রোশনি বেগমের মুখ দিয়ে বের হওয়া বাক্যটি যেনো এসিডের মতো প্রভাব ফেলল আরিশের উপর। কানে শুধু একটা কথাই বারি খাচ্ছে ' রিদি এ বাড়ী ছেড়ে চলে গেছে'।
তড়িৎ বেগে ঘাড় ঘুরিয়ে রোশনি বেগমের দিকে তাকালো যার কঠোর দৃষ্টি আরিশের উপরি নিবদ্ধ। ভালো করে লক্ষ্য করে দেখলো রোশনি বেগমের হাতের কাগজটির উপর গুটি গুটি অক্ষরে কিছু লেখা।
এক সেকেন্ড সময় অপচয় করলো কাগজটা কিসের বোঝার জন্য। তারপর থাবা দিয়ে ছিনিয়ে নিলো কাগজটা।
কাগজটা হাতে নিতেই বুঝলো এটা রিদির চিঠি। প্রতিটা অক্ষর বেশ মনোযোগ দিয়ে পড়তে লাগলো আরিশ।
প্রিয় মা,
প্রথমেই আমার করা ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। কিন্তু আমিও বা কি করবো, বলো? আমিও তো একটা মানুষ দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে আমার। রোজ রোজ নতুন নতুন কান্ড ভুল না থাকা সত্ত্বেও শাস্তি পাচ্ছি। দিন দিন এতো সুন্দর রাজপ্রাসাদের মতো বাড়িটা যেনো করাগার তৈরি হচ্ছে আমার জন্য। বাড়ির বাইরে বের হতে পারি না কলেজে যেতে পারিনা। নিজের পছন্দ মত পোশাক'ও পড়া বন্ধ হয়ে গেছে। আর গতকালের পর থেকে তো মনে হয় আমার ঘর থেকে বের হওয়াও বন্ধ হয়ে যাবে। সব সময় নতুন নতুন ঝামেলা হয় আমাকে নিয়ে। আমি অন্যায় করি বা না করি শাস্তি কখনো আমাকে আর নয়তো অন্য কাউকে পেতেই হয়। পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে মনে হচ্ছে কিছু দিন পর আমি হাসলেও তার শাস্তি পেতে হবে। আমি আর পারছি না মা এতো নিয়ম কানুন মেনে চলতে। অতিষ্ঠ হয়ে পরেছি। আমি খাঁচায় বন্দী পাখি হয়ে থাকতে চাই না মুক্ত আকাশে উড়তে চাই। স্বাধীনতা চাই প্রাণ খুলে হাসতে চাই। তাই চলে যাচ্ছি এ বাড়ী থেকে। পারলে ক্ষমা করে দিও তোমাকে না জানিয়ে চলে যাওয়ার জন্য। তোমাকে জানিয়ে গেলে তুমি কখনই আমাকে যেতে দিতে না, তাই না জানিয়েই চলে যাচ্ছি। বড় মা আর তানিয়া আপু খুব ভালো মানুষ তাদের প্রতি আমার কোনো অভিযোগ নেই। কিন্তু এ বাড়ির বড় ছেলে.. থাক! বাঁধ দিলাম তার কথা।তাকে বলে দিয়ো তার বিষ কাঁটা এ বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে। এবার যাতে সে নিজে শান্তিতে থাকে এবং অন্যদেরও থাকতে দেয়। সর্বশেষ আবারো ক্ষমা চাইছি। আর চিন্তা করো না আমার জন্য আমি সুরক্ষিত জায়গায় থাকবো। আমার ভালোবাসা নিও মা।
ইতি,
তোমার একমাত্র মেয়ে রিদি more...
স্তব্ধ হয়ে গেলো আরিশ রিদি সত্যি এ বাড়ী ছেড়ে চলে গেছে। কোথায় গেছে একা একা? ওর তো বাহিরের জগৎ সম্পর্কে কোনো কিছুই অবগত নয়। সেখানে কত ভালো খারাপ লোক আছে। যদি কেউ রিদির কোনো ক্ষতি করে ফেলে। ধক করে উঠল আরিশের বুকের ভেতরটা। চোয়াল শক্ত হয়ে এলো হাতে থাকা রিদির চিঠিটা দুমরে মুচড়ে ফেলে দিলো। তড়িঘড়ি করে নিজের পকেট হাতড়াতে লাগলো ফোন খোঁজ উদ্দেশ্য। খেয়ালে এলো ঘুমানোর আগে ফোন তার বেড সাইড টেবিলের উপর রেখেছিলো। যা সে ঘুম থেকে ওঠার পর আর ধরেনি। হন্তদন্ত হয়ে সিঁড়ির দিকে ছুটতে নিলো কিন্তু তার আগেই বাঁধ সাধলেন রোশনি বেগম।
আরিশের এক হাত টেনে ধরলেন। তা দেখে আরিশ এক ভ্রু উঁচিয়ে প্রশ্নবোধক দৃষ্টিতে চাইলো। সে দৃষ্টি পুরোপুরি উপেক্ষা করে নিজ বাক্যে আওড়ালেন রোশনি বেগম।
_"তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে"
আরিশ ব্যস্ততার সহিত করে উত্তর দিলো।
_"এখন না পরে"
_"এখনি"
শুনলেন না রোশনি বেগম নিজ কথায় অটল থাকলেন।
মায়ের জেদের সামনে হার মানলো আরিশ। এখন মায়ের সাথে তর্ক বিতর্ক করে সময় অপচয় করে লাভ নেই। তাই রোশনি বেগমকে তাড়া দিয়ে বলে উঠলো।
_"যা বলার তারাতাড়ি বলো।"
_"এখানে না আমার রুমে এসো"
কোনো কথা বাড়ালো না আরিশ মায়ের পিছু পিছু গেলো তার ঘরে। সময় কম তার রোশনি বেগম কি বলে তা শুনেই রিদির খোঁজ চালাতে হবে।
**
_"কি বলবে জলদি বলো আমার হাতে সময় নেই। "
রোশনি বেগম ফোঁস শ্বাস ত্যাগ করলেন। ছেলের এতো অধৈর্য হওয়ার কারণ সে জানে। এও জানে যে রিদি কোথায় আছে। কিন্তু এখন রিদির খোঁজ দেওয়ার থেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো আরিশকে কিছু কথা বলা। তাই নিজ মনেই আরিশকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলেন।
_"তোমায় রেশমি খালামনির কথা মনে আছে আরিশ?"
মেজাজ বিগড়ে যাচ্ছে আরিশের। এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ সময়ে নাকি তার মা তার খালামনির কথা বলছে। এই সময় এসব অহেতুক কথার কোনো মানে হয়?
_" মা এসব কথা বলার সময় এখন না। রিদি নিখোঁজ মা। খুঁজে বের করতে হবে। তোমার যদি খালামনির কথা বলতে মন চায় তো পরে বলো এখন না। এটা সঠিক সময় না।"
_" না আরিশ এটাই সঠিক সময় কথা গুলো বলার। আমি কখনো ভাবেনি যে তোমাকে এই কথা গুলো বলতে হবে। কিন্তু তুমি যা করছো তাতে না বলে থাকা যাচ্ছে না।"
থামলেন রোশনি বেগম বুক ভরে শ্বাস নিলেন তারপর ফের বলতে লাগলেন।
_" যদি আমাকে সাম্মান্য পরিমানে মেনে থাকো। তাহলে আশাকরি আমার কথা গুলো মনোযোগ দিয়ে শুনবে। আর দয়া করে আমার কথা যতক্ষণ না শেষ হয় ততক্ষণ একটু চুপ থাকবে।"
চোয়াল শক্ত হয়ে এলো আরিশের তবুও চুপ রইলো। আর যাই হোক মাকে অগ্রাহ্য করার লোক সে নয়।
_"আজ আমি তোমাকে তোমার বড় খালামনির সম্পর্কে কিছু কথা বলব। যা বর্তমানে আমার কাছে মনে হচ্ছে তোমার জানা দরকার।
🍀🍀
ছোটবেলা থেকেই মা হারা ছিলাম। আমার জন্মের সময়ই নাকি তিনি মারা যান। মা যখন মারা যায় তখন আপার বয়স ছিলো চার বছর। ছোটবেলা থেকেই নজর কারা রুপের অধিকারীনী ছিলো আপা।
বাবা ছিলেন গ্রামের স্কুলের একজন সাধারণ শিক্ষক। মায়ের পর তিনিই আমাদের সামলেছেন কিন্তু যখন ধীরে ধীরে আপা বড় হতে শুরু করলেন। সংসারের সব দায়িত্ব নিজেই বুঝে নিলেন।
সত্যি কথা বলতে আমাকে আপাই বড় করেছে। কোলে পিঠে করে মানুষ করেছে। মা না থাকা সত্ত্বেও কখনো মায়ের অভাব অনুভব হতে দেয়নি আপা।
তখনকার সময় বর্তমানের মতো নারী শিক্ষার এতো চল ছিলো না। শহরে যাও একটু থাকলেও গ্রামে তার চল ছিলো একেবারেই কম। তেরো চৌদ্দ বছর হতেই মেয়েদের বিয়ে দিয়ে সংসার করতে বসিয়ে দেওয়া হতো। খুব কম মেয়েরাই শিক্ষার সুযোগ পেতো। আব্বা শিক্ষক হওয়ার করণে আমরাও সেই সুযোগ পেয়েছিলাম। আব্বা সব সময় বলতো 'আমার মেয়েরা এক সময় উচ্চ শিক্ষিত হবে আমার নাম উজ্জ্বল করবে'। বাবার এই স্বপ্নকে সত্যি করতে উঠে পরে লাগলাম দু'বোন।
মা না থাকা সত্ত্বেও যেনো আমাদের পরিবারটা পরিপূর্ণ ছিলো। সব কিছুই ঠিক ছিলো কিন্তু শুধু মাত্র একজন মানুষের আগমনে আমাদের এই সুন্দর জীবনটা শেষ হয়ে গেলো। তাশের ঘরের মতো ভেঙে পড়লো সব কিছু।
সেবার আপা দশম শ্রেণীতে উঠেছিলেন আর আমি ছিলাম সপ্তম শ্রেণীতে। বাবার স্বপ্নের পাশাপাশি আপারো একটা স্বপ্ন ছিলো। সে ডাক্তারি পড়বে। ডাক্তার হয়ে গরীব লোকদের ফ্রি তে চিকিৎসা দিবে। আপা দেখতে যেমন ছিলো তার ইচ্ছে গুলোও তেমনি সহজ সরল ছিলো।
নিজের স্বপ্ন ও বাবার স্বপ্ন পূরণ করতেই প্রতি মাইলকে মাইলকে ছুটতাম দুই বোন। গ্রামে তখন একটাই স্কুল ছিলো তাও দুই মাইল পথ অতিক্রম করে যেতে হতো।
তেমনি একদিন বের হলাম দু'বোন স্কুলের উদ্দেশ্য। বাবা অনেক আগেই নিজের সাইকেল নিয়ে চলে গেছেন।
আপা বরাবরই ধার্মিক নারী ছিলেন বাহিরে গেলে কখনোই বোরকা নেকাব ব্যতিত বের হয়নি। আর আমি ছিলাম এক নাম্বারের পাজি। পারি না নামাজটাও কামাই দেই। কিন্তু আপার জন্য তা কখনোই হয়ে উঠতে পারেনি।
বরাবরের মতো সেদিনও আপার পড়নে ছিলো কালো বোরকা আর নেকাব।
আমি নিজ মনে বক বক করছি আর আপার সাথে তাল মিলিয়ে হাঁটছি। তা দেখে আপাও আমাকে চোখ রাঙাচ্ছে বারবার করে বারণ করছিলো কথা না বলতে লোকে খারাপ বলবে। কিন্তু আমি তো আমি আপার কথা না শুনেই নিজ কাজে ব্যস্ত ছিলাম।
কথা বলতে বলতেই হঠাৎ আমার চোখ গেলো গ্রামের কাঁচা রাস্তা ধরে আসা এক চার চাক্কার গাড়ির দিকে। মুখটা আপনা আপনি হা হয়ে গেলো। এ গ্রামে চার চাক্কার গাড়ি! গাড়ি জিনিসটা সেই প্রথম দেখেছিলাম।
উত্তেজিত হয়ে আপাকেও আঙ্গুল তুলে দেখালাম সেদিকে।
_"আপা দেখো চার চাক্কার গাড়ি!!"
আপাও কপাল কুঁচকে তাকালো আমার তর্জনী তোলা গাড়িটির দিকে।
_" এই গ্রামে গাড়ি?"
গ্রামে প্রথম এ রকম চার চাক্কার গাড়ি দেখে আমি এক প্রকার হাঁ করেই তাকিয়ে ছিলাম। তা দেখে আপা আমার মাথায় গাট্টা মেরে বলল।
_"এভাবে কি দেখছিস? আগে কখনো দেখিস নি মনে হয়?"
আমি সাথে সাথে নিজের মাথা নাড়িয়ে না জানালাম। আপা থতমত খেয়ে গেলো আসলেই তো আগে কখনোই গাড়ি দেখিনি।
_"আপা এই গ্রামে গাড়ি!! কিন্তু কার?"
_"যার হবার হবে তুই এভাবে হাঁ করে তাকিয়ে না থেকে তাড়াতাড়ি পা চালা। দেরি হচ্ছে আমাদের।"
স্কুলে যাওয়ার জন্য দেরি হচ্ছে ভেবেই নিজের অনিচ্ছা সত্ত্বেও সেদিক হতে মনোযোগ সরাতে হলো। আবারও হাঁটা ধরলাম আগের মত।
কিন্তু প্রকৃতির হয়তো আমাদের এই চলে যাওয়া পছন্দ হলো না। হঠাৎ এক তড়িৎ বাতাস এসে সরিয়ে দিলো আপার মুখে থাকা কালো নেকাব। দুই থেকে তিন সেকেন্ড সময় নিলো আপু তা ঠিক করতে। আর সেই সময়টাই যেনো আমাদের জীবনে ঝড় বয়ে আনলো।
আপা নিজের নেকাব ঠিক করতে ব্যস্ত আর তখনি কানে দারাম করে শব্দ তুলে কিছু বাড়ী খাওয়ার আওয়াজ পেলাম। চকিত হয়ে সামনে তাকাতেই দেখি সেই চার চাক্কার গাড়িটি সামনে থাকা একটা গাছের সাথে ধাক্কা লেগেছে।
চলবে more...
{ভুল ত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন এবং গল্পটি ভালো লাগলে বেশি বেশি করে রেসপন্স করবেন}


1

No comments:

720

Powered by Blogger.