পর্ব:০২
গল্প:বাঁধনহারা_প্রেম
টলমল চোখে নিচের দিকে তাকিয়ে আছে রোদ,,,
( হাসি বেগম বলে উঠে)
অপয়া অলক্ষি একটা মেয়ে,, কোনো একটা কাজ ঠিক করে করতে পারে না,,,
রাগান্বিত হয়ে বলেন
যাহ বাধরুমে কতো গুলো ময়লা কাপড় রাখা আছে,,
হাতে কেচে সুন্দর মতো পরিস্কার করে ছাদে শুকাতে দিয়ে আয়,,,,
মাথা নাড়িয়ে হ্যা সম্মতি দিয়ে আস্তে করে চলে যায় রোদ
এই বাড়িতে মার খাওয়া এটা হচ্ছে তার প্রতিদিন এর রুটিন কোনো কাজে ভুল হলেই,,,, তাকে মার খেতে হয়,,,
সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস রোদ এর আজ তাই,,, সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেছে,,,
রুম বাহিরে যাওয়া বারন তাই,,,রুমে মধ্যে বসে বই পড়ছিল,,,,
হঠাৎ মেজো মামি এসে বলেন
তা নবাব জাদি সারাদিন কি এই ভাবে বসে বসে কাটানোর প্লান করছেন নাকি,,,,,
রাজরানির মতো এই বাড়িতে বসে বসে খাওয়া চলবে না,,,তাড়াতাড়ি রান্না ঘরে আসেন আর বাসার কাজ গুলো করেন,,,,
আস্তে করে বিছানা থেকে নেমে মাথায় ভালো করে ওড়না টেনে,,,রুমের বাহিরে বেড়িয়ে আসে,,,
রান্না ঘরে কাজ করার সময় ভুল বসতো হাত থেকে চায়ের কাপ পড়ে যায়,,,আর যার জন্য হাসি বেগম থাপ্পর মারেন,,,,
প্রায় ২ ঘন্টা ধরে কাপড় ধুয়ে বাতলি করে নিয়ে ছাদে উঠছে রোদ,,,
কোমরে ওড়না বাঁধা চুল গুলো কোমর অবধি বেনি করে ছাড়া দেখতে বেশ লাগছে,,,,
জামা কাপড় শুকাতে দিয়ে যখন রোদ যেতে যাবে,,,
পেছন থেকে কারো ডাক আসে,,,
এই মেয়ে শোনো
কোনো পুরুষালি কন্ঠ পেয়ে ভয়ে কেপে উঠে রোদ ভয়ে ভয়ে পেছন ফিরে তাকায়
অয়ন ছাদের এক কোনায় দাড়িয়ে আছে,,,,
রোদ কে এই ভাবে ভয়ে ভয়ে তাকাতে দেখে অয়ন
বলে,,, ভয় পাবার কিছুই নেই রোদ আমি অয়ন এইদিকে আসো,,,,,
রোদ কিছুটা সস্তির নিশ্বাস ফেলে,,,,আস্তে করে সামনের দিকে এগিয়ে যায়,,,,
অয়ন বলে
রোদ কেমন আছো তুমি,,,, কালকে আসলাম আর সারাদিন রাতেও কোথাও তোমাকে দেখলাম না,,, কোথায় ছিলে,,,,
রোদ আমতা আমতা করে বলে,,,,
আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি অয়ন ভাই
আ সলে আমার শরীর ভালো ছিল না তাই রুমেই ছিলাম,,,, অয়ন ভাই
অয়ন বলে
দিলে তো মনটা ভেঙে ভাইয়া ডেকে
চমকে তাকায় রোদ
অয়ন হেসে বলে
তোমার মতো এক সুন্দরী মেয়ে যদি ভাইয়া ডাকে কষ্ট তো তখন কচু গাছের সাথে গলায় ধরি দিতে মন চায়,,,
লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেলে রোদ
অয়ন মনে মনে বলে
আসলেই মেয়েটা অসম্ভব সুন্দর সুধু সুন্দর নয়
মারাত্মক সুন্দর,,,, পুড়ো চেহারার যেনো মায়াতে বড় পুর
হঠাৎ করে অয়ন খেয়াল হয়,,, রোদ এর গালে লাল দাগ হয়ে গেছে ভ্রু কুচকে অয়ন জিজ্ঞেস করে
রোদ কি হয়েছে তোমার গালে এই ভাবে লাল দাগ হয়ে আছে,,,,
রোদ কিছুটা চমকে যায়,,,, তার পর বলে আসলে ভাইয়া তেমন কিছুনা,,, এলার্জী কারনে হয়তো ওই ভাবে লাল হয়ে আছে,,,,,, বলেই রোদ মাথায় ওড়না দিয়ে গাল ডেকে দেয়,,,,
অয়ন কিছু বলতে যাবে তার আগেই
নিলয় এসে বলে
Bro কি করছো এখানে আর আমি তোমাকে পুড়ো বাড়িতে খুঁজে হয় রান,,,,
নিলয় হটাৎ রোদ দিকে চোখ পড়তে হাসি দিয়ে বলে উঠে
এই আমাদের ছোট রোদ না কতো বড়ো হয়ে গেছে,,,,
কেমন আছো রোদ
আমি ভালো আছি ভাইয়া,,,,
দুজনে কুসল বিনিময় করে,,,,
তার পর নিলয় বলে শুভ্র ভাই সাথে আমার কিছু জরুরি কথা আছে,,,রুমে দেখে আসলাম সেখানেও নেই,,,
শুভ্র নাম শুনতে কেমন যেনো কেপে উঠে রোদ,,,,
অয়ন সেটা খেয়াল করে
তার পর নিলয় কে বলে,
আমাদের বিদেশ থেকে যে বিজনেস স্টার্ট করছিলাম সেই টায় নাকি,,, কি নিয়ে জামেলা হয়েছে সেইখানে গেছে শুভ্র
কি জরুরি কথা বলবি আমাকে বল
নিলয় আমতা আমতা করে বলে
Bro আমি এই সব বিজনেস মধ্যে থাকতে চাই না,,,
অয়ন বিরক্ত হয়ে বলে,,,
তাহলে আব্বু চাচা জান এদের বিজনেস দেখাশোনা কর,,,,
নিলয় বলে
Bro আমি কোনো বিজনেস সামলাতে পারবো না,,,
অয়ন বিরক্ত হয়ে বলে
কেনো পারবি না,,,, ঘোড়ার গাস কাটবি তাহলে
নিলয় বলে,,,
এতো কিছু থাকতে ঘোড়ার গাস কেনো কাটবো শুনি,,,
আমি সারা বিশ্ব ঘুরবো,,,,, আর ব্লগ ভিডিও করবো,,,,
তার পর বসে বসে খাবো,,শুধু এতো কষ্ট করার কেনো মানেই হয়না,,
অয়ন নিলয় কে ব্যাঙ্গ করে বলে
শালা রাখ তোর ব্লগ ভিডিও আসছে সারা বিশ্ব ঘুরবে আর ব্লগ করবে
Bro তুমি যানো শারুখ খান এর থেকেও আমার কতো ফ্যান ফলোয়ার
শারুখ খান এর মতো ঘুরে স্টাইল দিয়ে ধারাতে যাবে ওমন সময় ভিজা কাপড় পানি পড়ে ছিলো ছাদে সেখানে পা সিলিপ কেটে ধপাস করে পড়ে যায়,,,,
নিলয় অবস্থা দেখে রোদ অয়ন দুজনে হেসে দেয়,,,,,
এই দিকে নিলয় বেচারা বলে more...
শালার কপাল বাড়িতে আসার পড় থেকে পড়ে যাবার শনি লেগে আছে আমার পিছনে,,,,,
রোদ এর হাসতে দেখে অয়ন হাসি থেমে যায়,,,,,
অয়ন অপলক দৃষ্টি তাকিয়ে আছে রোদ এর দিকে
হাসি দিলে গালে টোল পরে যার জন্য আরো বেশি সুন্দর দেখায়,,,,মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে আছে,,,,অয়ন
হটাৎ অয়ন এর এমন দৃষ্টি দেখে থতমত খেয়ে যায়,,,রোদ
চুপ করে সরে আসে,,,,,, তার পর ছাদ থেকে চলে যায়,,,,
রোদ সরে যেতেই হুস আসে অয়ন এর তার পর
নিলয় দিকে তাকিয়ে,,,,, নিলয় কে ওঠে দাঁড় করায়
তার পর নিচে নিয়ে যায়,,,,
দুপুর ১২:৩০
বাসার সব রান্না বান্না শেষ করে,,,, যেই না রোদ রুমের দিকে যাবে ফ্রেশ হতে তখনি হাসি বেগম বলেন,,,
রোদ এই রোদ শোনো
রোদ পিছন ফিরে তাকায় তার পর বলে
জী মামি কিছু বলবে
হাসি বেগম বলে
রোদ তুমি শুভ্র রুমে গিয়ে শুভ্র রুমটা পরিস্কার করে আসো যাও,,,,
রোদ কিছুটা চমকে যায়,,,তার পর ভয়ে ভয়ে বলে
মামি তুমি অন্য কোনো সার্ভেন কে পাঠাও না,,,, আমার পুড়ো শরীর ঘেমে নেয়ে একাকার আমি পারবো না,,,
হাসি বেগম রাগান্বিত হয়ে,,,, ধমক দিয়ে বলেন,,
তোমাকে বলছি তুমি যাও,,,,
রোদ ভয়ে ভয়ে হাটা দেয় শুভ্র রুম এর দিকে
হাসি বেগম মনে মনে সয়তানি হাসি দেন তার পর বলে
একবার শুভ্র এই অপয়া মেয়েটাকে দেখুক,,,তার পর ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিবে এই বাড়ি থেকে,,,,
রোদ শুভ্র রুম এর সামনে এসে দাড়ায় ভয়ে ভয়ে দরজা খুলে ভিতরে যায়,,,কিন্তু ভিতরে কেউ নেই,,,,,সস্তির
নিশ্বাস ফেলে রোদ তার পর মনে মনে বলে,,,,,
উনি আসার আগেই রুম পরিস্কার করে চলে যাবো তাই তাড়াতাড়ি কাজে হাত লাগাই,,,,
সারাদিন অনেক ব্যস্ততার কারনে অনেক ক্লান্ত শুভ্র।
রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে লম্বা একটা ঘুম দেবে,,,
হঠাৎ রুমে ডুকে দেখতে পেলো
পিছন ঘুরে কেউ দাড়িয়ে আছে,,,
শুভ্র বলে উঠে
কে ওখানে
হঠাৎ পুরুষালি কন্ঠ চমকে উঠে রোদ,,,,
পিছন ফিরে তাকাতে হাত থেকে শুভ্র কে দেখে,, হাতে শুভ্র ফটো ফ্লোরে পড়ে যায়,,,,
শুভ্রকে সামনা সামনি দেখে ভয়ে কাঁপতে থাকে রোদ,,,
রানিং more....
ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন আর সুন্দর করে একটা মন্তব্য করে যাবেন,,,, কেমন হয়েছে,,,,
প্লিজ Next next করবেন না
No comments: