Header Ads Widget

test

তোমার_প্রাপ্তিতে_আমার_সমাপ্তি



 তোমার_প্রাপ্তিতে_আমার_সমাপ্তি

লেখনীতে:মাইশা_চৌধুরী
|৩|
.
ভোর চারটা,,
পিটপিট করে চোখ মেলতেই দেখি ড.নীলা আমার পাশে বসে আছেন।আমার পুরো শরীর যেনো অবশ হয়ে আছে কোনো যন্ত্রণা অনুভব হচ্ছে না আর।
আমার চোখ খুঁজছে মাহিনকে। ডক্টর নীলা হয়তো আমার কথা বুঝতে পারলেন।বললেন,,
"মাহিন বাহিরে বসে আছে।তুমি বললে ডেকে দিব।"
"ডক্টর আমার বেবি ঠিক আছে তো?"
"হুম।আর একটু হলে আজকে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেত তোমার।সাবধানে চলাফেরা করবা।"
"জ্বি ডক্টর।"
ডক্টর নীলা আর কিছু বললেন না।সেলাইনটা ঠিক করে দিয়ে নার্সের সাথে কথা বলতে বলতে কেবিনের বাহিরে চলে গেলেন।আমি চোখ জোড়া বন্ধ করে শুয়ে রইলাম।হঠাৎ ই কারোর উপস্থিতি টের পেয়ে চোখ খুলতেই দেখলাম মাহিন আমার পাশে বসা।
আমি মাহিনকে দেখে আবারো চোখ বন্ধ করে নিলাম।মাহিন বলল,,
" সরি মেহের।আমার তখন প্রচন্ড রাগ হচ্ছিলো। আমি আর এমনটা করবো না।আজ আমার জন্য আমার বেবির ক্ষতি হয়ে যেত।সরি মেহের।"
আমি উত্তর করলান না মাহিনের কথার।মাহিন আমার পাশে বসলো।বলল,,
"মেহের নিধি কল করেছিলো ও তোমার সাথে কথা বলতে চায়।ফোন করি?"
"আমি ঘুমাতে চাই মাহিন।"
"ওও আচ্ছা থাক পরে কথা বলিও।রেস্ট করো।"
বলেই মাহিন চলে গেলো। এক দীর্ঘ শ্বাস নিয়ে আমি চোখ বন্ধ করলাম।ভোর ৬টায় ড.নীলা আমার সেলাইন চেঞ্জ করতে এলেন।আমি ওনাকে দেখে একটু অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম,,
"আপনি কেনো? নার্স কোথায়?"
"কেনো মেহের আমি করলে কি কোনো সমস্যা? "
"না তা নয়।"
আমি আর কিছু বললাম না।ড.নীলা সেলাইন খুলে দিয়ে আমাকে উঠে বসিয়ে দিলেন।বললেন,,
"মেহের তোমার শরীর অনেক দুর্বল। এর উপর তুমি অনেক টেনশন করো এমন চললে কিন্তু বেবির ক্ষতি হবে।এমন অনেক কেসে দেখা গেছে মায়ের অতিরিক্ত টেনশন এবং দুর্বলতার জন্য মিসক্যারেজ পর্যন্ত হয়ে গেছে।"
মিসক্যারেজ করাটা শুনে আমি বললাম,,
"প্লিজ ডক্টর এমন কথা বলবেন না।"
"তাহলে তুমি টেনশন কমাও।কিসের এতো চিন্তা তোমার মেহের? মাহিনের মতো একজন পার্টনার তোমার পাশে আছে।তারপরও তুমি এতোটা হতাশ,চিন্তাগ্রস্ত কেনো?"
"ডক্টর মাহিন আমার পার্টনার না।এমন কি এই বেবিটাও আমার না।এটা মাহিন এবং নিধির বেবি।"
আমার কথাটা শুনে চমকালেন ড.নীলা। বিষ্ময়ের শেষ সীমানায় পৌঁছে তিনি জিজ্ঞেস করলেন,,
" তুমি সারোগেসি করছো!"
উত্তর আমি হাসলাম।তিনি আবারো বললেন,,
"তোমার শরীর কন্ডিশন এই প্রসেস এর জন্য একদমই ফিট নয়।কোন ডক্টরের আন্ডারে আছো?"
"ড. হিনা আহমেদ।"
"ওহ।"
আর কোনো প্রশ্ন করলেন না ড.নীলা।আমাকে নিজের খেয়াল রাখতে বলে চলে গেলেন।
সকাল আটটায় আমি মাহিনের সাথে এপার্টমেন্টে পৌছালাম।বাসায় ঢুকতেই মাহিন আমাকে আমার রুমে বসিয়ে বলল,,
"তুমি রেস্ট করো আমি আসছি।"
বলেই ও চলে গেলো।আমি ফ্রেস হয়ে এসে শুয়ে পড়লাম।মায়ের কথা মনে পড়ছে।ফোনটাও মাহিন ভেঙে ফেলেছে। মা নিশ্চয়ই এতোক্ষণে আমাকে কয়েকবার ফোন করেছে আর ফোনে না পেয়ে দুশ্চিন্তা করছে।
চিন্তা করতে করতে এক পর্যায়ে আমি ঘুমিয়ে পড়লাম।ঘুম ভাঙলো একদম দুপুর দুইটায়।
উঠে রুম থেকে বের হতেই দেখলাম পুরো বাড়ি পরিপাটি করে গুছিয়ে রাখা।
কে গোছালো?মাহিন তো কোনোদিন গোছাবে না। তাহলে কে?
কথাটা ভাবতে ভাবতেই আমি কারোর হাসির শব্দ শুনে ড্রইং রুমের সমনে গেলাম।দেখলাম নিধি আপুর ভাই এবং বোন এসেছে।
নিহা আপুই হয়তো বাসাটা গুছিয়েছে।আমাকে দেখেই নিহা আপু বলল,,
"এই মেহের এদিকে এসো। "
আমি গেলাম। নিহা আপু আমাকে একটা শপিং ব্যাগ দিয়ে বলল,,
"এটা তোমার জন্য মেহের।জানো আমি সেদিন এই ড্রেসটা দেখেই ভেবেছি তোমাকে ছাড়া এটা আর কাউকে মানাবে না।উজ্জল শ্যামবর্ণের এক মায়াবী মেয়ে তুমি। তোমাকে এই হালকা নীল রঙটা দারুন লাগবে।যাও পরে এসো।"
"না আপু এখন না।আমার কিছু কাজ আছে সেগুলো করতে হবে।"
"আহা মেহের রাখ কাজ।আমি বাসাটা গুছিয়েছি আর মাহিন ভাইয়াকে বলেছি দুপুরের খাবারটা বাহির থেকে নিয়ে আসতে।ভাইয়া এই আসলো বলে।তুমি চলো আমার সাথে।"
নিহা আমাকে জোর করে রুমে এনে ড্রেসটা পড়ালো।তখন ও আমার পায়ের ব্যান্ডেজ দেখে জিজ্ঞেস করলো,,
"তোমার পায়ে কি হয়েছে মেহের?"
"পড়ে গিয়েছিলাম আপু।"
"তুমিও না মেহের।দেখেশুনে চলবা তো। দাড়াও আমি পেইন কিলার দিচ্ছি।"
নিহা ওর ব্যাগ থেকে পেইন কিলার বের করে আমাকে দিলো।ও আমার দিকে পানির গ্লাস এগিয়ে দিয়ে বলল,,
"খেয়ে নাও মেহের।দেখবা একদম ব্যথা কমে যাবে।"
"না আপু।আমি খাবো না এখন।"
"আরে কেন? খাও জলদি নাহলে কিন্তু কাজ করতে পারবা না।আর মাহিন ভাইয়া যে রাগি কাজ ঠিকঠাক মত না করলে কিন্তু তোমাকে বকা দিবে।আর এখন বাসায় নিধি আপুও নেই যে তোমাকে বাঁচিয়ে দিবে তাই ওষুধ টা খেয়ে নাও।"
নিহা জোর করতে লাগলো আমাকে ওষুধ খাওয়ার জন্য।কিন্তু আমি যে ওষুধটা খেতে পারব না।আমাকে এই ব্যথাই সহ্য করতে হবে।এই সময়ে কোনো ধরনের পেইনকিলার খেতে পারবো না আমি।এটা কিভাবে বোঝাই নিহাকে।
আমাকে চুপ থাকতে দেখে নিহা জোর করে আমাকে ওষুধটা খাওয়াতে নিলে মাহিন এসে পড়ে।
নিহাকে এক ধমক দিয়ে সরিয়ে দিতেই আমি দৌড়ে ওয়াশরুমে চলে যাই।মাহিন নিহাকে উল্টাপাল্টা বুঝিয়ে দেয় এরপর বলে,,
"খাবার বাড়ো নিহা আজ সবাই একসাথে খাবো।"
"আচ্ছা।"
নিহা চলে যায়।তখনই আমি ওয়াশরুম থেকে বের হই।মাহিন এসে আমাকে জিজ্ঞেস করে,,
"ওষুধটা খাওনি তো?"
আমি মাথা নাড়িয়ে না করি।মাহিন এক শস্তির শ্বাস নিয়ে বলে,,
"আমি ড.নীলার সাথে কথা বলে এসেছি উনি তোমাকে কিছু মেডিসিন দিয়েছেন ।এই নাও।"
মাহিন আমার হাতে ওষুধ গুলো দিয়ে চলে গেলো।আমি ওষুধগুলো বের করছি ঠিক এমন সময় দেখি বিছানার উপর মাহিনের ফোনটা বাজছে।
আমি ফোনটা হাতে নিতেই দেখি নিধি কল করেছে।কলটা কেটে যাবে ভেবে আমি রিসিভ করি।নিধি একটু অবাক হয় আমকে দেখে।জিজ্ঞেস করে,,
"মাহিন কোথায় মেহের?"
"মাহিন ফ্রেশ হতে গিয়েছে।নিহা আর ফয়েজ ভাইয়া এসেছে।"
"ওরা আবার কেনো গেছে।আচ্ছা শুনো মেহের মাহিনকে একটু বলে দিও আমাকে যেনো যখন তখন ফোন করে ডিস্টার্ব না করে।আমি শুটে থাকি।ওর মতো সারাদিন সমাজ সেবা করে বেড়াই না আমি।"
কথাগুলো বলেই ফোন রেখে দিলো নিধি।আমি ফোনটা নিয়ে রুম থেকে বের হতেই ফয়েজ ভাইয়া বলল,,
"মেহের কেমন আছো?"
"এই তো ভাইয়া ভালো আপনি?"
ফয়েজ ভাইয়া কিছু বলবেন তখনই মাহিন এসে উপস্থিত হয়।ওকে দেখে ফয়েজ ভাইয়া আর কিছু না বলে চলে যান।
সবাই একসাথে খাওয়া দাওয়া করে কিছুক্ষণ আড্ডা দেয়।এরপর নিহা আর ফয়েজ ভাইয়া চলে যায়।
ওরা চলে যেতেই মাহিন আমাকে ওর রুমে ডাকে।
আমি সব কাজ শেষ করে মাহিনের রুমে যাই।
মাহিন আমাকে বিছানায় ওর মুখোমুখি বসতে বলে।আমি গিয়ে বসি।এরপর মাহিন আমাকে ঠান্ডা মাথায় বলে,,
"নাইম সব টা জানে মেহের।আর আমি নাইমকে যতটুকু চিনি ও বাবা মাকে ঠিকই সবটা বলে দিবে।যা আমি চাইনা।এর জন্য তোমাকে নাইমের সাথে কথা বলতে হবে।"
"আমি কথা বলবো?"
"হ্যা মেহের।তুমি নাইমকে বলবে ও যেনো এই সারোগেসির কথাটা কাউকে না বলে।আমি বললে নাইম কখনোই শুনবেনা।তাই তোমাকে বলছি।"
"আচ্ছা। কিন্তু কিভাবে যোগাযোগ করবো?আমার ফোনটাও তো আপনি ভেঙে দিয়েছেন।"
"আমার ফোন দিয়ে কল করো নাইমকে।ওর সাথে কথা বলে সবটা ক্লিয়ার করো।আমি নতুন সিম তুলেছি তাই তুমি বলবে এটা তোমার নতুন নাম্বার। ওকে?"
আমি মাথা নাড়িয়ে হ্যা করলাম।মাহিন আমাকে ওর ফোনটা এগিয়ে দিলো।আমি ফোন নিয়ে বেলকিনেতে চলে গেলাম।
নাইমের নাম্বারে ডায়াল করতেই ও রিসিভ করলো।
আমার গলা শুনেই জিজ্ঞেস করলো,,
"এটা কার নাম্বার মেহের?"
"আমারই নতুন নাম্বার।"
"ওহ,তো এতো রাতে হঠাৎ ফোন করলে যে?"
"নাইম আমার তোমার সাাতে কিছু কথা আছে।"
"আমি জানি তুমি কি বলবে।তুমিও নিশ্চয়ই এটাই বলবে যে আমি যা জেনেছি তা যেনো কাউকে না বলি।"
"হ্যা নাইম।দেখ এটা সম্পূর্ণ মাহিনের পারসোনাল ব্যাপার।তাই তুমি শুধু শুধু এটা নিয়ে পরিবারে ঝামেলা সৃষ্টি করো না।"
"তুমি আমাকে এই কথাটা কিভাবে বলতে পারো মেহের? মেহের এই পুরো ঘটনাতে তুমি নিজে ভিক্টিম। আজ থেকে ছয়মাস আগে মাহিন তোমাকে এনেছিলো তোমাকে চাকরি দিবে,তোমার মায়ের চিকিৎসার দায়িত্ব নিবে বলে।কিন্তু ও কি করলো? এগুলোর বিনিময়ে তোমার সামনে শর্ত রাখলো তুমি যেনো ওর বেবির সারোগেট মাদার হও।এতোটা সিপ একটা মানুষ কিভাবে হয় মেহের?"
নাইমের কথার উত্তর আমার কাছে নেই।আমি বিশ্বাস করে ঠকেছি।আমার কাছে কোনো ক্ষমতা ই নেই মাহিনের রিরুদ্ধে লড়ার।ক্যান্সারে বাবাকে বহুদিন আগেই হারিয়েছি।মাও হার্টের পেসেন্ট।ওপেনহার্ট সার্জারী করতে হবে মায়ের।অনেক টাকার দরকার।বাবার চিকিৎসার সময় নিজেদের বাড়ি-ঘর সহ সমস্ত সম্পত্তি বিক্রি করে মা বাবার চিকিৎসা করেছিলো। ফলাফল দেড় বছরের লড়াইয়ে বাবা আমাদের ছেড়ে চলে যায়।
এরপর মা ছোট চায়ের দোকানে কাজ করে আমাকে পড়াশোনা করাতে থাকে।রাতে একটা ছোট্ট টিনের ঘরে থাকতাম।
এরই মাঝে মা একদিন স্ট্রোক করে। সবাই ধরাধরি করে মাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডক্টর জানায় মায়ের একের অধিক ব্লক রয়েছে।অবস্থা খুবই খারাপ দ্রুতই অপারেশন করাতে হবে।
দিশেহারা হয়ে পড়ি।অনেকের পায়ে পড়ি কেউই সাহায্য করেনি।কয়েকজন আশ্বাস দিয়েছিলো সাহায্য করবে কিন্তু বিনিময়ে আমাকে এক রাতের জন্য চেয়েছিলো যা শুনে মা বলেছিলো মরে যাবো তাও মেয়ের উপর কলঙ্ক লাগতে দিব না।
দিন যায়,মাস যায় মায়ের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে পড়তে শুরু করে।চিকিৎসার অভাবে নিজের মাকে মরে যেতে দেখতে পারবো না।তাই টাকা জোগার করার উদ্দেশ্যে ফুল বিক্রি করতে শুরু করি।যেনো ওষুধটা অনন্ত কিনে দিতে পারি মাকে। এমনই একদিন সিগনালের মাঝে ফুল বিক্রি করছিলাম তখনই মাহিন আমাকে দেখে। ও আমাকে ডেকে গাড়িতে বসিয়ে একটা বড় রেস্টুরেন্টে নিয়ে যায়।
আমার সব কথা শুনে আমাকে সাহায্য করবে বলে কথা দেয়।আমি বোকা তখনও জানতাম না এই সাহায্যের বিনিময় এতো বড় কিছু হবে।
মায়ের চিকিৎসা করানোটা আমার মাথায় তখন এমনভাবে চেপে বসেছিলো যে অন্য কিছু ভাবার কথা মাথায়ই আসেনি।
আমাকে এতো ক্ষণ চুপ করে থাকতে দেখে নাইম বলল,,
"মেহের আমি সবটাই জানি।মাহিন ভাইয়ার গাড়ির ড্রাইভার আমাকে বলেছে সবটা।তুমি আমাকে একবার বলো তুমি আমার সাথে আছো, আমি মাহিন ভাইয়ার এগেইনস্টে কেস করবো।"
কেস! কেস করলে কি আমার মা সুস্থ হয়ে যাবে? আর এই বাচ্চাটার বা দোষ কি? আমি তো সবটা জেনেই এই পথে হেটেছি।
কথাটা ভেবে আমি বললাম,
"মাহিনের নামে আমি কোনো কেস করতে চাইনা নাইম।এটা সম্পূর্ণ আমার পারসোনাল ব্যাপার।আমাকে তো তুমি একজন ভালো বন্ধু হিসেবে মনে করো তাহলে আমার কথা চিন্তা করে চুপ থাকো।আমার বিষয়ে আর কোনো কথা তুমি বলো না।প্লিজ নাইম।"
শেষের কথাগুলো কান্নামিস্রিত কন্ঠে বললাম। নাইম কোনো প্রতিক্রিয়া করলো না।কিছুক্ষণ পর এক দীর্ঘ শ্বাস নেওয়ার আওয়াজ শুনতে পেলাম এরপরই কল কেটে গেলো।
আমিও চোখের পানি মুছে নিয়ে রুমে এলাম।রুমে আসতেই দেখি মাহিন একের পর এক চুমুক দিয়ে চলেছে ওয়াইনের গ্লাসে।ওর চোখ ও লাল হয়ে গেছে।
মাহিনের সামনেই ওর অন্য ফোনটা রাখা তাতে ভিডিও কল চলছে।ভিডিও কলে নিধি আপু রয়েছে।
মাহিন অকথ্য ভাষায় কয়েকটা গা*লি নিধি আপুর উদ্দেশ্যে ছুড়ে বলল,,
"আমি যা বলি তা মিথ্যা হয়না। তুই মা হতে চাসনি বলে আমি সবাইকে লুকিয়ে মেহেরকে এনেছি।এরপরও তুই বলিস আমি নাকি তোকে ডিস্টার্ব করি, তোর কেয়ার করিনা, মেন্টালি সিকের মতো আচরণ করি।আরে আমি তোকে ভালোবাসি বলেই এতো কিছু করেছি। তুই কি করেছিস আমার জন্য?"
মাহিনের কথা শুনে নিধি চটে গিয়ে বলল,,
"এসব ননসেন্স কিভাবে বলতে পারো মাহিন? আর নিজের ভাষা সংযত করো আমি মেহের নই।আমি নিজে ইনকাম করি আর আমি নিজে একজন ফেমাস পার্সন। তোমার এইসব নোংরা কথা বরং তুমি গিয়ে অন্য কাউকে বলো।আর কি বললে তোমার আমাকে প্রয়োজন। তো তোমার প্রয়োজনের জন্য আমি আমার ক্যারিয়ার রেখে চলে আসব? এসব ফা*লতু কথা ভাবো কি করে তুমি? যতসব।"
নিধির কথায় মাহিনের রাগ বেড়ে গেলো।চিৎকার করে বলল,,
"যা লাগবেনা তোকে।"
বলেই টেবিলের সবকিছু নিচে ফেলে দিলো।আমি বুঝতে পারছিনা কি করবো? আমার মনে হয় এই সময় এখান থেকে চলে যাওয়াই ভালো।আমি চুপচাপ দরজার কাছে যেতেই দেখি দরজা লক। আমি হাইটে পাঁচ ফুট দুই। দরজার লক পর্যন্ত হাত আমার পৌছায় না।কি করবো?
আমার ভাবনার মাঝেই মাহিনের দৃষ্টি পড়ে আমার দিকে।ওর চোখে মুখে হিংস্রতা।হঠাৎ এক অজানা ভয়ে আমার মন কু ডাকতে লাগলো more..
All reaction
2

No comments:

720

Powered by Blogger.