Header Ads Widget

test

প্রেমে_প্রেমে_ভালোবেসেছি



 প্রেমে_প্রেমে_ভালোবেসেছি

পর্ব_13
লেখিকা_তাইয়্যিবা
দীর্ঘ এক চু'ম্ব'নের শেষে রিদ্মিক আয়রাকে ছাড়লে লজ্জায় আয়রা তার বুকেও ঘা*পটি মে*রে পরে থাকে।রিদ্মিক নিঃশব্দে হেসে সেভাবেই আগলে ধরে প্রেয়সীকে।
টেবিল ল্যাম্প টা ফ্লোরে পরতেই ঝনঝন শব্দ করে সেটা ভেঙে যায়।দরজায় দাঁড়ানো অর্ন একবার অর্নার দিকে তাকিয়ে দরজাটা আস্তে করে লক করে দেয়।এগিয়ে আসে বোনের দিকে,যে বিছানার পাশে বসে একটু পর পর ডুকরে কেঁদে উঠছে। অর্ণ পাশে বসলে অর্না ভাইয়ের দিকে কান্নাভেজা চোখে তাকায়,
~ তুমি বলেছিলে ভাইয়া।রিদ্মিক ভাই আমার হবে।তাহলে এসব কি?
অর্ন বোনের দিকে তাকায়।শান্ত স্বরে বোনকে সামলাতে থাকে,
~ সময় চেয়েছিলাম।হুট করে কিছু সম্ভব নয় অর্না।
~ কি সম্ভব নয়?হা?কি সম্ভব নয়?যদি মম ড্যাড কে বিষয়টা সামলে দেখতে বলতে তাহলে এতদিনে রিদ্মিক ভাই আমার থাকতো।আমার...কিন্তু নাহ...তোমার তো নিজেকে ভালো ভাই প্রমাণ করতে হবে।আর সেজন্য তুমি মম ড্যাড কেও বারণ করে দিলে।নিজে সামলাবে বলে।এই সামলাচ্ছ তুমি?সব কিছুর জন্য তুমি দায়ী ভাইয়া,শুধু তুমি দায়ী।
~ নিজের সীমা অতিক্রম করো না।মম ড্যাড বললেও কিছু হবে না।
রিদ্মিক আয়রার জন্য পা*গল,তুমি তো সেটা বুঝবে না।সেজন্য নিজে এভাবে হ্যান্ডেল করতে চাইলাম।
~ ওহ প্লীজ,তুমি একদম চুপ থাকো।ভালো মানুষ এটা দেখাচ্ছ না?আসার পর থেকে তো আয়রার সাথে ফ্লার্ট করছো।লাভ হচ্ছে?পারলে ওকে মে*রে দিয়ে আমার রাস্তা ক্লিয়ার করো না।
~ ও ম*রে গেলে রিদ্মিক মরে যাবে।এর থেকে আমি সাজেস্ট করবো,তুমি রিদ্মিক কে ভুলে থাকার চেষ্টা একবার অন্তত করে দেখো।
~চুপ করো।তুমি,তুমি একটা স্বা*র্থপর মানুষ। নিশ্চয়ই আয়রাকে এখানে এসে ভালো লেগেছে ?এজন্য ওকে মা*রতে চাইছো না?লন্ডনে থাকতে তো ঠিকই বলেছিল যে কোনো মূল্যে আয়রার থেকে
রিদ্মিক ভাইকে আমার করে দিবে ।
~ তোমার পা*গলামিতে বাধ্য ছিলাম।আর,,,তখন বুঝতাম না,রিদ্মিক আয়রাকে কতটা ভালোবাসে।
~ ভালোবাসা মাই ফুট ।রিদ্মিক ভাই ওকেও বাকিদের মতো ইউস করে ছুঁ*ড়ে ফেলবে।সবে তো কিস অব্দি গিয়েছে,এরপর বেড অব্দি নিয়েই ওকে ছুঁ*ড়ে ফেলবে।আম সিউর...
অর্ন হাসে। অর্নার কথায় আর কিছু বলার ইচ্ছে নেই তার।মেয়েটা অনেক বেশি জেদি।যখন থেকে জানতে পেরেছে আয়রার সাথে
রিদ্মিক এর সম্পর্ক আছে তখন থেকে পা*গলামি করে যাচ্ছে।এখনো তো করছে...
মূলত আয়রা যাওয়ার পর অর্নাও বাহানা দিয়ে উঠে এসেছিলো তখন।রিদ্মিক এর দরজার সামনে আসলে দরজা বন্ধ দেখে । লকের ছিদ্র থেকে রুমের ভিতরে কি হচ্ছে দেখার চেষ্টা করলে নজরে আসে রিদ্মিক আর আয়রার কিস করার দৃশ্যটা।আক্রোশ ঘরে এসে ভাংচু*র করে তখন।
অর্ন কিছুক্ষণ বসে থেকে অর্নাকে বোঝানের চেষ্টা করে।কিন্তু অর্না নিজের জেদ নিয়ে অটল।এখন যা হবে টা পারিবারিক ভাবে হবে।তার মামা নিশ্চয়ই তার মায়ের কথা ফেলবে না। অর্ন আর বাধা দেয় না।যা হওয়ার হোক।সে অর্নাকে বাধা দিবে না।একমাত্র বোন তার।
সর্মা আর তানিয়া সন্ধ্যার দিকেই বাড়ি ফিরে গিয়েছে।যদিও আয়রা বলেছিলো আজ থেকে যেতে।তবে তারা থাকেনি।বাড়িতে বলে আসা হয়নি রাতে থাকার কথা।তার থেকে বরং কাল একেবারে অনুমতি নিয়ে আসবে।একেবারে এক সপ্তাহ তিন বান্ধবী ভালো সময় কা*টাবে।
চৌধুরি বাড়ির সবাই রাতের খাবার শেষে সোফায় বসে। আজলাম চৌধুরীর বোন রেহেনা (আগে কি নাম বলছিলাম?মনে নেই ) কিছু বলতে চায় সবার সামনে।রিদ্মিক কেও থাকতে বলা হয়েছে। অর্না খুশি মনে মায়ের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।রিদ্মিক সিঙ্গেল সোফায় হাত পা ছড়িয়ে বসে ফোন নিয়ে আয়রার সাথে মেসেজিং করতে ব্যস্ত।তার এসবে মন নেই।এছাড়াও তার কিছুটা ধারণা আছে কি বলতে পারে ফুপি।সেদিন আয়রার কথায় ভেবেছে সে।তার আপন কেউ ,তাও আবার কোনো মেয়ে।সেটা অর্না ছাড়া কেউ নয়।এখন দেখা যাক তার বাবা কি বলে!
~ভাইজান,আমি তোমার একমাত্র বোন।ছোটবেলা থেকেই কোনো কিছুর অভাব আমাকে পেতে দাওনি।আমি যখন যা চেয়েছি আমায় এনে দিয়েছো।এমনকি অর্নর বাবাকে পছন্দ করি বলার পর নিজ দায়িত্বে তাকে আমার করে দিয়েছো।
এতটুকু বলে থামে রেহেনা। আজলাম চৌধুরি নড়ে চ*ড়ে বসেন।সকলে চুপচাপ রেহেনার বাকি কথার অপেক্ষায় আছে।
~জীবনে শেষ বারের মতো তোমার কাছে কিছু চাবো। আশা করছি না,বিশ্বাস রাখছি তুমি আমায় ফিরিয়ে দিবে না।
আজলাম চৌধুরি মনযোগ দিয়ে বোনের কথা শোনে।
~আমার সাধ্য থাকলে অবশ্যই দিবো।
রেহেনার সাথে অর্ণাও যেনো খুশি হয়।
~তাহলে চাইছি....রিদ্মিক কে আমার মেয়ের জন্য চাইছি। অর্না অনেক আগে থেকেই রিদ্মিক কে পছন্দ করে।এছাড়া আমিও চাই
রিদ্মিক আমার কাছে গিয়ে থাকুক।আমি জানি ,রিদ্মিক এর জীবনটা ওতো ভালো যায় নি।তাই,আমি এবার রিদ্মিক কে সুখ এনে দিতে চাই।বিশ্বাস করো,অর্না পারবে সেটা।রিদ্মিক এর সাথে অর্নার বিয়ের ব্যবস্থা করো।
আজলাম চৌধুরি হতভম্ব হয়ে যান।বোনের চাওয়াটা এমন হবে সে ভাবতেও পারেনি।আল্লাহ তাকে এ কোন পরীক্ষার মাঝে ফেললো?সে তো জানে,রিদ্মিক আয়রাকে পা*গলের মতো ভালোবাসে।কিন্তু তার বোন?একমাত্র বোন তার। কখনো কোনো কষ্ট পেতে দেন নি।হিমশিম খাচ্ছেন এ পর্যায়ে।ঘাড় বেকিয়ে রিদ্মিক এর দিকে তাকান।একই সময়ে রিদ্মিক ফোন থেকে চোখ সরিয়ে মাথা তুলে বাবার চোখে চোখ রেখে।শান্ত তার দৃষ্টি।যেনো সেও দেখতে চায় তার বাবা তার চোখের ভাষা কতখানি বুঝবে। আজলাম চৌধুরি ছেলের চোখে চোখ রাখতেই তার সমস্ত দ্বিধা কেটে যায়। দীর্ঘশ্বাস ফেলে বোনের দিকে তাকান।
~ আমি সব সময় চেষ্টা করেছি তোকে সুখে রাখার।তুই যখন যা চেয়েছিস তাই হয়েছে।কিন্তু...এবারের চাওয়াটা আমি দিতে পারছি না।
রেহেনার মুখের হাসি নিভে যায়।অবাক হয়ে তাকায় ভাইয়ের দিকে। অর্নার চোখে পানি টলমল করছে।
~ রিদ্মিক আমার একমাত্র সন্তান।আমার কলিজার টুকরা সে।কখনও তাকে একটু মন থেকে হাসতে দেখিনি।ভালো থাকতে দেখিনি।কিন্তু, ইদানিং সে খুব ভালো আছে।মন থেকে হাসে জানিস?তখন আমার অন্তর জুড়িয়ে যায়। আয়রা,রিদ্মিক এর প্রাণভোমরা।আমার ছেলেটা যে ওই মেয়েটাকে অনেক ভালোবাসে।এটা জেনেও আমি তোর কথা মেনে নিই কিভাবে?এর থেকে তো ভালো হবে নিজে হাতেই আমার ছেলেটাকে মেরে ফেলি...।এখানে আমি কিছু করতে পারবো না।আশা করছি তুই বিষয়টা বুঝবি।
রেহেনা চুপচাপ শোনে ভাইয়ের কথা।বিষয়টা তো আগেই সে জানতো।তবুও মেয়ের মন রক্ষার্থে ভাইয়ের কাছে বললো।তবে ভাইয়ের যুক্তির কাছে সে আর কোনো কথা খুঁজে পাচ্ছে না।
আজলাম চৌধুরি উঠে দাঁড়ায়।রুমের দিকে চলে যেতে নিলে অর্না আর চুপ থাকতে পারে না।
~ নিজের ভাগ্নির থেকে ড্রাইভারের মেয়ে তোমার কাছে বড় হলো মামা?
তৎক্ষণাৎ সামনের টি টেবিল টা ছিটকে গিয়ে দূরে পরে।সকলে ভয়ার্ত দৃষ্টিতে রিদ্মিক এর দিকে তাকায়।রাগে রীতিমতো হাত পা কাপছে তার। আয়রাকে নিয়ে একটাও বাজে মন্তব্য সে মানতে পারবে না।চিৎকার করে বলে,
~ ও ড্রাইভারের মেয়ে তো কি হয়েছে?ও আমার জান।আমি ভালোবাসি ওকে।আর ড্রাইভার রা কি মানুষ না? মানুষকে সম্মান দিতে শেখ অর্না।নয়তো নিজেকে অমানুষ হিসেবে পরিচয় করানো হবে তোর। আয়রা আমার প্রাণ। ভালোবাসি আমি ওকে।সে আমার,আর এই আমি রিদ্মিক ও শুধু মাত্র আয়রার। ওকে কিছু বলার আগেই একশো বার ভাববি।মাইন্ড ইট......
রিদ্মিক হন হনীয়ে বেরিয়ে যায় বাড়ি থেকে।অর্না রাগে ক্ষোভে চুপ থাকে। অর্ন চুপচাপ উঠে উপরে চলে যায়।বুকটা তার জ্বলছে। আয়রাকে রিদ্মিক ভালোবসে।আর আয়রাও রিদ্মিক কে ভালোবাসে। আয়রাকে যখন প্রথম এখানে দেখেছিলো, সেদিনই সে ফেসেছিল।প্রথম প্রথম চাইতো যেভাবে হোক আয়রা রিদ্মিক কে আলাদা করবে। আয়রাকে নিজের করবে,আর রিদ্মিক তার বোনের হবে।কিন্তু আয়রার চোখে রিদ্মিক এর প্রতি অনেক ভালোবাসা।সেটা সে খুব ভালো করেই উপলব্ধি করতে পেরেছে।এখন আর কিছু করার নেই তার।কিছু না।
চলবে?
গল্প দি নাই দেখে রাগ করছেন অনেকে।কিছু করার নাই।আমার এবার খুব বাজে ভাবে ঠান্ডা টা লাগছে।আমার দুই তিন বছরেও ঠান্ডা লাগে না এমন।লাগলেও শুধু কাশি অব্দি থাকে।কিন্তু এবার জ্বর অব্দি চলে গিয়েছে। সরি more...

All reacti
2

No comments:

720

Powered by Blogger.