Header Ads Widget

test

শেষ বিকেলের আলো" অধ্যায় 2– পরিবারের দ্বন্দ্ব

অধ্যায় – পরিবারের দ্বন্দ্ব

রূপা আর অরিন্দমের ভালোবাসা যখন গভীর হতে শুরু করল, তখনই তাদের সামনে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াল দুই পরিবারের দ্বন্দ্ব।

রূপার বাবা ছিলেন একজন কঠোর স্বভাবের মানুষ। তিনি সবসময় চাইতেন মেয়ে যেন একটি “ভালো ঘরে” বিয়ে হয়—যেখানে অর্থ, সম্মান আর প্রভাব আছে। অরিন্দমের পরিবারের অবস্থা সাধারণ হওয়ায় তিনি শুরু থেকেই আপত্তি করলেন।

এক সন্ধ্যায় রূপার ঘরে সবাই বসেছিল। বাবা কড়া গলায় বললেন—
“এই ছেলের সঙ্গে তোমার কোনো ভবিষ্যৎ নেই। আমি চাই তুমি আমাদের সম্মান বজায় রাখো।”

রূপা কাঁপা গলায় জবাব দিল—
“বাবা, সম্মান কি শুধু টাকার ওপর নির্ভর করে? অরিন্দম পরিশ্রমী, সৎ, আর আমাকে সত্যিকারের ভালোবাসে। আমি ওর সঙ্গে থাকলেই নিরাপদ মনে করি।”

মা কেঁদে উঠলেন—
“তুই কি বুঝিস না, সমাজ কী বলবে?”

অন্যদিকে, অরিন্দমের পরিবারও চিন্তায় পড়ে গেল। তার বাবা বললেন—
“বাবা, মেয়েটি ভালো হলেও ওদের পরিবার যদি না মানে, তাহলে তোর কষ্ট আরও বাড়বে।”

অরিন্দম চুপ করে শুনছিল। অবশেষে সে শান্ত গলায় বলল—
“বাবা, ভালোবাসার জন্য যদি কষ্ট পেতেই হয়, তবে আমি সেই কষ্ট মেনে নেব। কিন্তু রূপাকে ছাড়ব না।”

এই দ্বন্দ্ব দিন দিন আরও তীব্র হয়ে উঠল। রূপার আত্মীয়রা নানাভাবে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করল—
“তুই ছোট, কিছু বুঝিস না। জীবন মানে শুধু ভালোবাসা নয়, টাকারও দরকার।”

কিন্তু রূপা অটল রইল। সে বারবার বলত—
“ভালোবাসা না থাকলে টাকাও সুখ দিতে পারবে না।”

পরিবারের এই দ্বন্দ্বে দু’জনেই ভেতরে ভেতরে ভেঙে পড়ছিল। তবুও তারা একে অপরকে সাহস দিত। ফোনে বা চিঠিতে যখনই কথা হতো, অরিন্দম রূপাকে বলত—
“যা-ই হোক, একদিন আমরা প্রমাণ করব—ভালোবাসা সব বাধা জিততে পারে।”

রূপা চোখ মুছতে মুছতে উত্তর দিত—
“আমি অপেক্ষা করব, যতদিনই লাগুক। more...


✨ এই অধ্যায়ে বোঝানো হলো কিভাবে পারিবারিক দ্বন্দ্ব তাদের প্রেমকে আরও চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছিল, আর সেই চ্যালেঞ্জই তাদের ভালোবাসাকে আরও শক্ত করেছিল।

 

No comments:

720

Powered by Blogger.