রোম্যাঞ্চ_বাই_মিস্টেক_সিজন_২ [ নতুন প্রেমের শুরু]
[ এলার্ট: গল্পটি প্রাপ্ত বয়স্ক ও উন্মুক্তমনাদের জন্য বাকিরা দয়া করে এড়িয়ে চলুন ]
ঝুমুর চোখে পানি নিয়ে ছুটে ছুটে আসে সোজা নিজের ঘরে। ঘরে এসে দরজা লাগিয়ে ঝুমুর বসে পরে তার পড়ার টেবিলে।কান্না করতে করতেই কিছু একটা খুজতে থাকে ঝুমুর।একটা ডায়েরি,,, ডায়েরিটা বুকে জড়িয়ে নিয়ে আরও জোরে জোরে কান্না করতে থাকে সে।ডায়েরিটা খুলেই প্রথম পাতায় বড় বড় করে লেখা "আহিল ভাই"। ঝুমুর লেখাটার উপর হাত বোলায়,ঝুমুরের চোখের পানির ফোটা পরে ডায়েরির পাতার উপর।ঝুমুর যেটা হাত দিয়ে মুছে দেয়।ডায়েরির প্রতিটি পাতায় পাতায় শুধু আহিল আর আহিলের নাম ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।ঝুমুর যখন শিশু বয়স থেকে কিশোর বয়সে পা দিয়েছে তখন থেকে সে একজন পুরুষের প্রতি দুর্বল হয়েছে,সে নিজেও জানেনা কিভাবে আর এসবের মানেও তার জানা ছিল না।ঝুমুর শুধু বুঝতে পারতো আহিল তার সামলে এলে তার বুক অনেক জোরে জোরে ধুকপুক করে,নিশ্বাস আটকে আসে,কান দিয়ে গরম ধোয়া বের হতে থাকে, গাল গরম হয়ে যায়। আবার আহিল সামনে না থাকলেও বার বার তার আহিলের কথাই মনে পরে।স্কুলে তার বেস্ট ফ্রেন্ডকে এইসব কথা একদিন ঝুমুর বললে,,তার বেস্টফ্রেন্ড তাকে বলে সে নাকি প্রেমে পড়েছে।তখন থেকেই ঝুমুর জানে যে সে আহিলের প্রেমে পড়েছে।ঝুমুরের প্রেমের মানে শুধুই আহিল।আহিলের জন্যই তার প্রেম শব্দটার সাথে পরিচয়। ঝুমুরের বয়:সন্ধিকালের প্রথম ভালোলাগা বা ভালোবাসা যাই বলুন তা সবি শুধু আহিল।কিন্তু ঝুমুর জানে তার এসব ভালোলাগার অনুভূতি গুলোর কোন দাম নেই।সব কিছু বোঝার বয়স হলে ঝুমুর যখন শোনে আহিল আর জোতির বিয়ের কথা,,ঝুমুর তখন থেকে সে তার সব কথা সব কষ্ট এই ডায়েরিতে বন্ধি করে।আহিলের প্রতি তার যে কি অনুভূতি তা শুধু এই ডায়েরিই জানে।ডায়েরির আরেকটা পাতা উল্টাতেই এক জোরা চোখ ভেসে উঠে ঝুমুরের সামনে।এই চোখ সে নিজের হাতে একেছে তার বড্ড প্রিয়।
ঝুমুর: আপনি জানেন আহিল ভাই,,আপনার চোখের একটা বিশেষ বিশেষত্ত আছে।আপনার এই চোখের মনি খয়েরী রঙের, যখন আপনি রোদে যান তখন আপনার এই চোখের মনি অসম্ভব সুন্দর হয়ে উঠে,,আমি শুধু তাকিয়েই থাকি আপনার ওই চোখে।আরও একটা মজার কাহিনি শুনবেন আহিল ভাই? আমি যখন বুঝতে পারলাম আমার আপনাকে ভালোলাগে আমি আপনার প্রেমে পড়েছি তখন থেকে আপনাকে দেখার নেশা আমার আরও বেড়ে যায়।বিকেলে যখন তুমি বাইরে ক্রিকেট খেলতে যেতে, ওই শেষ বিকেলের সূর্য যখন এসে তোমার চোখে মুখে পোরত তখন তোমার ওই চোখ দুটো আমি একবার দেখব বলে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতাম মাঠের এক ধারে।তোমার ঘেমে যাওয়া মুখ, উস্কো খুস্কো চুল সাথে তোমার ওই মায়াবী চোখ, আমি শুধু একবার,একবার তা দেখার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা মশার কামড় খেয়েও দাঁড়িয়ে থেকেছি।কিন্তু ভাগ্য দেখো আমি তুমি এত কাছাকাছি তারপরও তোমাকে পাবার সাধ্য আমার নেই।তোমাকে এই কথাটা বলার সাহস বা অধিকার কিছুই আমার নেই। কারণ আমি জন্মানোর আগেই ত তুমি অন্য কারো হয়ে গেছ।এই ত আর মোটে ২/৩ বছর।মা সেইদিন বললছিল তোমার ভার্সিটির পড়া শেষ হলেই নাকি মেজমা তোমার আর জোতি আপুর বিয়ে দিবে আর দেরি করবেনা।আমি ত ছোট থেকেই জানতান বলো তোমাদের বিয়ে হবে একদিন।তারপরও কেন বলোতো আমি বেছে বেছে তোমার প্রেমেই পরলাম? আমি জানি আমার মতো অসুন্দর মেয়েদের হয়তো কারো প্রেমে পড়তে নেই, কেই বা ভালোবাসবে আমাকে? সবাই শুধু সুন্দরের পূজারি আমাদের মতো মানুষদের হয়তো কেউ আপন করে নিজের করে নেয়না। more......
ঝুমুরের পছন্দের হবি গুলোর মধ্যে একটা হচ্ছে উপন্যাস লেখা,,,,ঝুমুরের পড়াশোনার পাশাপাশি কাহিনি,গল্প,কবিতা এসব নিয়েই দিন কাটে।তার প্রতিটি গল্পের ফাকে ফাকে সে আহিলের অস্তিত্ব তুলে ধরে।ঝুমুর স্বপ্ন দেখে বড় হয়ে সে লেখিকা হবে।গত ২ বছরে সে অনেক অনেক গল্প লিখেছে সব মজা রেখেছে তার টেবিলের ড্রয়ারে।আহিলের চোখের ছবিটার উপর হাত বোলাতে বোলাতে ঝুমুরের চোখের পানি দ্বিগুণ বেড়ে যায়।হুট করে দরজায় কড়া পরে।
সাদিয়া: আপু আপু!! দরজা খোলো বড় আপু শ্বশুর বাড়ি যায় তোমাকে ডাকে।
ঝুমুর চটজলদি নিজের চোখের পানি মুছে নিজেকে সামলে দরজা খুলে সাদিয়ার সাথে নিচে যায়।
তৃপ্তি : ঝুমুর তুই কই ছিলি কখন থেকে তোকে খুজতেছি, যা চট করে রেডি হয়ে নে আমরা বের হবো।
ঝুমুর: রেডি হবো? কিন্তু কেন কোথায় যাব?
জোতি: আরে আমরা আপুর সাথে আপুর শ্বশুর বাড়ি যাচ্ছি।
ঝুমুর: কিন্তু আপুর শ্বশুর বাড়ি ত মেলা দূর তোমরা যাও আমি যাবনা।
রেহেনা: কেন রে যানা নতুন জায়গা ঘুরে আসিস।তোর সাথে ত জোতি আর আহিল যাচ্ছেই।
আহিল: দেখ হাতে কিন্তু সময় নেই,,গেলে জলদি রেডি হ।
জোতি আর বাড়ির সবাই অনেক করে বলাতে ঝুমুর আর না করতে পারেনা। উপরে গিয়ে রেডি হয় সাথে তার মা রাতে পড়ার জন্য কিছু জামাকাপড় দিয়ে দেয়।
ঝুমুর: মা যেতেই হবে না গেলে হয়না?
রেহেনা: জোতি এমন করে বলছে যে তুই না গেলে নাকি ওই ও যাবেনা।আর বাকিরা ত বাচ্চা তৃধার নাকি কালকেই কলেজে কি সব কাজ আছে না গেলেই নয়।
মীর: আমাদের বাসায় কি ভুত আছে নাকি যে গেলে খেয়ে ফেলবে?
রেহেনা: একি মীর বাবা এসো এসো বাইরে কেন?
ঝুমুর: না মানে....
মীর: সবাই গাড়িতে অপেক্ষা করছে ঝুমুরের জন্য তাই আমি দেখতে এলাম হয়েছে কিনা।
রেহেনা: এইত হয়ে গেছে নে ধর ব্যাগ, সাবধানে যাস।
মীর: ব্যাগটা আমাকে দিন আমি নিয়ে যাচ্ছি
মীর ঝুমুরের ব্যাগ নিয়ে সিড়ি দিয়ে নিচে নামতে যাবে তখনি আহিল আসে,সেও ঝুমুরকে নিতে এসেছে।
মীর: ওহ আহিল,,চলুন গাড়িতে সবাই অপেক্ষা করছে আমি ঝুমুরকে নিয়ে যাচ্ছি।
আহিল মীরের হাত থেকে ঝুমুরের ব্যাগটা ছো মেরে নিয়ে বলে,,,
আহিল: তার দরকার হবেনা। ঝুমুর চল।
ঝুমুর একবার মীরের দিকে তাকিয়ে আহিলের সাথে চলে গেল।গাড়ির কাছে এসে,,,
মীর: ঝুমুর আপনি এখানে বসুন এখানে অনেক সিট ফাকাই আছে।
আহিল: ওটা বরের গাড়ি, আপনি বর বউকে নিয়ে সামনে যান আমরা আপনাদের পিছন পিছন আসছি।ঝুমুর গাড়িতে ওঠ।
ঝুমুর আহিলের গলায় রাগের তেজ দেখে আর কিছু বলার সাহস পায়নি তাই চুপচাপ গাড়িতে উঠে,,,গাড়িতে আগে থেকে জোতি বসা ছিল,তার পাশে ঝুমুর বসে আর ঝুমুরের পাশে বসে আহিল।গাড়িতে এসে চলছে কিন্তু তার পরেও আহিল অনবরত ঘামছে।তার চুল বেয়ে ঘামের ফোটা তার গলায় এসে পরছে।ঝুমুর খেয়াল করেছে এর আগেই আহিল যখন খুব রেগে যায় তখন সে এভাবে ঘামে কিন্তু আহিলের এখন এত রাগের কারণ টা ঠিক কি সেইটাই ঝুমুর বুঝতে পারছেনা।
গন্তব্য ফরিদপুর টু ঢাকা।ঝুমুরদের বাড়ি ফরিদপুর জেলার মধুখালিতে।আর তার বোনের বিয়ে হয়েছে ঢাকাতে।বিয়েটা পারিবারিক ভাবেই হয়।ঘটকের কাছে তৃপ্তির ছবি দেখে ছেলে এক দেখাতেই রাজি হয়ে যায় বিয়ের জন্য। গাড়িতে অনেকক্ষণ বসে থাকতে থাকতে ঝুমুরের চোখ লেগে যায়।হুট করে ঝুমুরের মাথাটা ঢলে পরে আহিলের কাধে।আহিল নিজের হাতটা বাড়িয়ে দেয় যাতে ঝুমুর ভালো ভাবে ঘুমাতে পারে।কয়েক ঘন্টা পর গাড়ি এসে থাকে একটা বাড়ির সামনে।বাইরে থেকে দেখতে বেশ ভালোই বাড়িটা এবার ভেতরে যাবার পালা।
আহিল: ঝুমুর এই ঝুমুর উঠ!
ঝুমুর আধো আধো চোখ মেলে তাকিয়ে দেখে সে আহিলের কাধে মাথা দিয়ে আসে।চোখ মেলটেই সে চট করে সরে যায়।নিজেকে গুছিয়ে নিয়ে নেমে পরে গাড়ি থেকে।সামনে যেতেই জোতি ঝুমুরকে উদ্দেশ্য করে বলে,,,,
জোতি: বেশ আমার হবু বরের কাধে ঘুমাতে ঘুমাতে এলি।
কথাটা শুনেই চোখ বড় বড় হয়ে যায় ঝুমুরের।দুই হাতের নখ খুটরাতে থাকে সে,, কি বলবে বুঝতে পারছেনা।
ঝুমুর: না আপু আসলে আমি কখন ঘুমি....
জোতি ফিক করে একটা হাসি দিয়ে বলে,,,
জোতি: আরে আই এম জাস্ট জোকিং ইয়ার।আয় ভেতরে আয়।
বলেই হাসতে হাসতে জোতি ভেতরে গেল।কিন্তু ব্যাপারটা বেশ অদ্ভুত লাগে ঝুমুরের কাছে।ঢাকায় আস্তে আস্তে তাদের প্রায় বিকাল হয়ে যায়।নতুন বউ বাড়িতে এসেছে তাই আপ্পায়নের কোন কমতি নেই।সাথে বউয়ের বাড়ির লোক হিসেবে বেশ সম্মানও পাচ্ছে আহিল ঝুমুর আর জোতি।বাসায় আসতে একজন অনেকটা পরিমান খাবার দিয়ে যায় তাদের।তারা একটু কিছু খেয়ে রেস্ট নেয়।সন্ধ্যায় সবাই ডাইনিং এ বসে চা খাচ্ছিল তখন মীর এসে বলে,,,
মীর: আমাদের এখানে অনেক বড় একটা মেলা বসেছে চলুন ঘুরে আসি।
জোতি: মেলা!!চলুন চলুন আমি যাব অনেকদিন মেলায় ঘুরা হয়না।
মীর: বাহিরে গাড়ি রাখা আছে আপনারা যান আমিও যাচ্ছি।
আহিল: ঝুমুর কোথায়?
তৃপ্তি : তোরা যা আমি ওকে পাঠাচ্ছি।
আহিল আর জোতি বাইরে এসে দাঁড়ায়।
জোতি: দে মাল ছাড়!!
আহিল: এসব কি ভাষা হ্যাঁ? কিসের মাল?
জোতি: ওমা তোর জন্য যে কাজটা করে দিলাম তুই ত বলেছিলি তাকে নিয়ে এলে তুই আমাকে পুরো হাজার টাকা দিবি।ত এখন দে।
আহিল: সত্যি বাবা তোরা মেয়ে মানুষরা না বড্ড জালাস।নে ধর।
আহিল জোতিকে টাকা দিচ্ছিল তখন ঝুমুর বাইরে আসে।সে ভাবে আহিল আর জোতি হয়তো হাত ধরাধরি করে গল্প করছে। হাসাহাসি চলছিল তাদের মধ্যে বেশ।
তখনি মীর বাইক নিয়ে আসে।
আহিল: একি আপনি বাইকে যাবেন নাকি?
মীর: আসলে গাড়িতে ৩ জনের সীট, আপনারা আরামে আসুন আমি সামনে যাচ্ছি।
তখনি ঝুমুর বলে উঠে,,
ঝুমুর: আ,,,আমি বাইকে যাব।
মীর আহিল জোতি সহ সবাই ঝুমুরের দিকে তাকায়।আহিল ভ্রু কুচকে বলে,,,
আহিল: তোর আবার বাইকে যেতে হবে গাড়িতে বস।
ঝুমুর: না মানে অনেকক্ষন গাড়িতে করে এলাম ত তাই আর গাড়িতে বসতে ইচ্ছে করছেনা তাই বাইকে গেলে বাতাস লাগত।
আহিল আবার কিছু বলতে যাবে তার আগেই মীর বলে,,,
মীর: কোন সমস্যা নেই,,এই নিন হেলমেটটা পরে নিন।
ঝুমুর হেলমেটটা পরে নিয়ে মীরের বাইকে উঠে।মীর বাইক ছাড়ে।
আহিল: আমি যাবনা।
জোতি: এই কুত্তা যাবিনা কেন? উঠ আমি একা যাব নাকি।
জোতি জোর করে আহিলকে গাড়িতে তোলে।গাড়ি করে আসায় আহিলদের বেশ অনেকটাই আগে ঝুমুর আর মীর মেলায় আসে।
ঝুমুর: ওরা এখনো এলোনা?
মীর : চলে আসবে,, তুমি এসো আমি তোমাকে ঘোরাই।উফ সরি আমি অনুমতি না নিয়েই আপনাকে তুমি বলে ফেললাম।
ঝুমুর: না না ঠিক আছে সমস্যা নেই, আপনি আমাকে তুমি বলতেই পারেন।
মীর: ত ঝুমুর তুমি কিসে পড়াশোনা করো?
ঝুমুর: এবার ক্লাস ৯ এ।আপনি কি করেন?
মীর: আমি মেডিকেল স্টুডেন্ট ২ন্ড ইয়ার।
ঝুমুর: তাহলে ত আপনি বেশ বিজি মানুষ।
মীর: তা যা বলেছ ঢাকায় পড়াশোনা করি তাই এই বিয়েতে থাকতে পারছি দূরে হলে ত যাওয়াই হতোনা।এইদিকে আসুন এইদিকে মেয়েদের জন্য অনেক সুন্দর সুন্দর জিনিস পাওয়া যায়।
মীর ঝুমুরকে নিয়ে একটা কসমেটিকস এর দোকানে যায়।
ঝুমুর: এমা আমি এসব ব্যবহার করিনা।
মীর: এই যে এইটা।
মীর একটা নূপুর দেখিয়ে বলে দোকানদারকে সেইটা দিতে।
মীর:এটা দেখোত পছন্দ? আমার ত অনেক ভালো লেগেছে।
ঝুমুর হ্যাঁ বা না কিছু বলার আগেই মীর সেইটা প্যাক করে দিতে বলে,,
মীর: এটা ধরো। more....
ঝুমুর: এসবের কোন দরকার ছিলনা।
মীর: আরে বাদ দাও!! আমার পছন্দ হলো তাই তোমাকে উপহার দিলাম।দাও আমি পরতে হেল্প করি।
ঝুমুর: না না তার দরকার নেই।আমি পরে, পরে নিব।
মীর: না না এখনি পরো ভালো না লাগলে চেঞ্জ করে নিব।
মীরের জোরাজোরিতে ঝুমুর পরতে বাধ্য হয়।পাশেই একটা বেঞ্চ ছিল বসার ঝুমুর সেখানে বসে পা তুলে দিয়ে নূপুরটা পরার চেষ্টা করে কিন্তু কিছুতেই লাগাতে পারেনা।
মীর: বললাম আমি হেল্প করি।
বলেই মীর নিচে বসে ঝুমুরের পায়ে নূপুর টা লাগিয়ে দেয়।তখনি গাড়ি এসে থাকে আহিলদের।গাড়ির জানালা দিয়ে এই দৃশ্য স্পষ্ট দেখতে পায় আহিল।
আহিল: শালা মীর!!
জোতি: আহিল!! উফ মাথা গরম নয় আমি দেখছি।
জোতি আর আহিল গাড়ি থেকে নেমে সোজা যায় মীর আর ঝুমুরের কাছে।
জোতি: মীর একটা হেল্প করবেন প্লিজ।এইটা এত সুন্দর জায়গা আমি পিক তুলব কিন্তু আহিল আমার একটাও ভালো পিক তুলে দিতে পারছেনা আপনি একটু আসুন না প্লিজ আমাকে একটু হেল্প করুন।
মীরের ইচ্ছে না থাকা সত্ত্বেও সে যায়।ঝুমুর তখন সেই বেঞ্চেই বসে ছিল।ওরা চলে গেলে আহিল ঝুমুরের পাশে গিয়ে বসে।আহিল বসতেই ঝুমুর একটু সরে যায়।আহিল আরও চেপে বসে।
আহিল: তোর নূপুর পছন্দ আগে বলিসনি ত!! একটা বাইরের মানুষের থেকে নূপুর কিনা পরা লাগে? আবার পরিয়েও দেয় বাবা!!
ঝুমুর: আমি নিজে থেকে পরতে চাইনি মীর আমাকে এটা উপহার দিয়েছে।
আহিল: উপহার!!
একটা ফিকে হাসে আহিল।
ঝুমুর: আপনি এখানে কি করছেন জোতি আপুর সাথে গেলেন না?
আহিল: কেন তোর ভয় লাগছে আমার সাথে? মীরের সাথে নিজেকে বেশি সেফ মনে হয়? বেশ ত উড়তে উড়তে এলি বাইকে। কোথায় কোথায় জড়িয়ে ধরেছিলি মীরকে।কোমড়ে না কাধে? নিজের শরীরটা লাগিয়ে দিয়েছিলি ওর শরীরের সাথে??
আহিলের এসব কথায় বেশ অপমানিত বোধ করে ঝুমুর।
ঝুমুর: তোমার আমাকে এমন মেয়ে লাগে আহিল ভাই? আমাকে এইভাবে এত নোংরা নোংরা কথা কিভাবে বলতে পারছ?
আহিল: ওহ বলতে গেলেই নোংরা আমি? আর তুই যেটা করছিছ সেইটাকে কি বলে।
ঝুমুর এবার নিজের রাগ সামলাতে পারেনা।অনেক হয়েছে অনেক সহ্য করে নিয়েছে সে।
ঝুমুর: কেন!! তুমি আর জোতি আপু যে বাড়ির মধ্যে এত কিছু করো।আমি কিছু বলি?
আহিল ঝুমুরের গাল চেপে ধরে বলে,,,
আহিল: কবে কি করতে দেখলি আমাদের তুই?
ঝুমুর: কেন কালকেই ত তোমরা গ্যারেজে....
এই টুকু বলেই ঝুমুর থেমে যায়।আহিল ঝুমুরের গাল ছেড়ে দিয়ে বলে,,,
আহিল: ফলো করিস তুই আমাদের?
ঝুমুর: ফলো কেন করতে যাব আমি বের হতে দেখেছি তোমাদের।
আহিল ঝুমুরের কানের কাছে এসে বলে,,
আহিল: তাই!!!?
আহিলের কথায় উষ্ণ স্পর্শতে শিউরে উঠে ঝুমুর।আড় চোখে তাকায় আহিলের দিকে।
ঝুমুর কিছু বলবে তার আগেই মীর চলে আসে।
মীর: আরে তোমরা এখনো বসে আসো? চলো ওইদিকে অনেক জিনিস আছে দেখার।
ঝুমুর জলদি উঠে পরে। আগে আগে মীরের সাথে হাটা লাগায়।
পেছন পেছন জোতি আর আহিল হাটে।
জোতি: কিরে কাজ হলো??
আহিল: জেলাস!!
জোতি: ওওও,,কেননা এটা আরেকটু বাড়ানো যাক।?
আহিল: কিন্তু যদি....
জোতি: আরে কিছু হবেনা, তুই শুধু দেখনা।
ওরা ৪ জনে অনেকক্ষন ঘুরাঘুরি করে। জোতি ঝুমুর অনেক ঝাল দিতে ফুচকা খায়। ঝাল খেয়ে ঝুমুরের অবস্থা ১২ টা।
আহিল: ঝাল যখন খেতে পারিস না এত পাকামি কে করতে বলেছিল।নে ধর পানি খা।
মীর: ঝুমুর এই নাও আইসক্রিম। এটা খেয়ে নাও ঝাল কমবে।
ঝুমুর পানি না নিয়ে মীরের হাত থেকে আইসক্রিমটা নিয়ে খাওয়া শুরু করে।
জোতি: উম।অনেক রাত হয়ে গেছে আপু ফোন করছে এখন ফিরতে হবে।
মীর: ঝুমুর চলো বাইকটা ওইদিকে আছে মনে হয়।
তখনি আহিল জোতিকে চোখ দিয়ে কি যেন ইশারা দেয়।
জোতি: ঝুমুর কিছু মনে করিস না আমারও না গাড়িতে আস্তে আস্তে শরীরটা খারাপ লাগছে আমি এখন মীরের সাথে বাইকে যাই,, ঠান্ডা বাতাস লাগলে ভালো লাগবে অনেক খারাপ লাগছে আমার।
ঝুমুর কিছু বলেনা।জোতি মীরের সাথে বাইকে যায়।
আহিল: গাড়িতে ওঠ।
ঝুমুর নাক ফুলিয়ে গাড়িতে উঠে সোজা জালানার সাথে সেটে যায়।
আহিল: এত জায়গা থাকতে এত দূরে গিয়ে বসা লাগবে কেন?
ঝুমুর: আমার ইচ্ছা।
আহিল কিছু বলেনা কিন্তু সে গাড়ির আলোয় স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে ঝুমুর গাল ফুলিয়ে আছে।ঝুমুরের চুলে একটা কাটা লাগানো ছিল। আহিল ঝপ করে সেইটা টান মেরে খুলে দেয়।সাথে সাথে ঝুমুরের ঘন কালো চুলগুলো বাতাসে উঠে ঝুমুরের চোখে মুখে ঢুকে যেতে থাকে।ঝুমুরের এমন বেহাল দশা দেখে আহিল হো হো করে হেসে দেয়।
ঝুমুর: আহিল ভাই আমার চুলে কাটা দিন।কি করলেন এটা আমি কত কষ্ট করে চুল বেধেছিলাম।
আহিল: দে আমি ঠিক করে দেই।
ঝুমুর: দরকার নেই। আমাকে দিন।
আহিল: তাহলে ভাগ পাবিনা কাটা, এমনেই থাক।
ঝুমুর : আচ্ছা দিন।
ঝুমুর আহিলের দিকে চুলগুলো ফিরে বসে।
আহিল: একি তোর চুলগুলো ছোট ছোট লাগছে কেন?
ঝুমুর: আসার আগে মা একটু কেটে ছোট করে দিসে।আমি একটা এই চুল সামলাতে পারিনা।তাই মা বলল এখন কেটে দেই কদিন পর আবার হয়ে যাবে।এমনি মাসে ১ বার করে চুল কাটাই লাগে।
আহিল: ওহ!!
আহিল কাটা দিয়ে ঝুমুরের চুল বেধে দেয়। যদিও তেমন ভালো করে পারেনা তাও চলার মতো।
গাড়ি বাসার সামনে এসে দাড়াতেই দেখে মীর এখনো বাইক নিয়ে বাইরে দাঁড়িয়ে আছে।জোতি মনে হয় ভেতরে গেছে।ঝুমুর নামতে যাবে গাড়ি থেকে ঠিক তখনি অসাবধানতায় ঝুমুরের পা মচকে যায়।সাথে মাটিতে বোধহয় কাচ না কাটা ছিল সেইটাই ঝুমুরের পায়ে ফুটে যায়। more.....
ঝুমুর: আহ!! উ মা!
আহিল: কিরে কি হলো?
ঝুমুরের চিৎকার শুনে মীরও দৌড়ে আসে।
মীর: কি হয়েছে একি রক্ত? পায়ে মনে হয় কাটা ঢুকেছে।
আহিল: সাবধানে আয় সাবধানে।
আহিল মীর ধরে ধরে ঝুমুরকে ভেতরে নিয়ে আসে।
তৃপ্তি : একি ঝুমুরের পা থেকে রক্ত বের হচ্ছে কেন কি হয়েছে?
আহিল: আগে একটা চেয়ার দাও ওকে বসাই।
সবাই ব্যস্ত হয়ে যায়। অনেক রক্ত বেরিয়ে যায়।
মীর: দেখি আহিল একটু সরুন।
আহিল: কেন আপনি ডাক্তার নাকি?
মীর: ডাক্তার না হলেও আমি মেডিকেল স্টুডেন্ট তাই আপনার থেকে ভালো বুঝব কি করতে হবে উঠুন সময় নষ্ট করবেন না রক্ত বন্ধ করা দরকার।
আহিল আর কিছু বলেনা,, মীর ঝুমুরের পা থেকে কাটাটা সাবধানে বের করে দেয়।
ঝুমুর : আহ!!
মীর: কিছু হয়নি কিছু হয়নি বের হয়ে গেছে।
মীর রক্ত পরিষ্কার করে ঝুমুরের পায়ে ব্যান্ডেজ করিয়ে দেয়।
জোতি: একটু সাবধানে চলবি ত? দেখ কত রক্ত বেরিয়ে গেছে।
মীর: আপাতত সমস্যা নেই কিন্তু কাটা ফুটেছে ত কাল একবার হাসপাতালে গিয়ে ইঞ্জেকশন দেওয়া লাগবে বলা যায়না ইনফেকশন হয়ে যেতে পারে।
জোতি: চল তোকে রুমে দিয়ে আসি।
তৃপ্তি আর জোতি ধরে ধরে ঝুমুরকে রুমে নিয়ে যায়।
তৃপ্তি : তুই এখানে আরাম কর।আমি তোকে খাবার দিয়ে যাবনি।
রাতে খাবার খেয়ে ঝুমুর সুয়ে পরে।ঝুমুরের সাথে জোতিও সুয়ে পরে।কিছুক্ষণ পর ঝুমুরের ওয়াশরুমে প্রয়োজন হয়।রুমের সাথে এটাচ বাথরুম ছিলনা।তাই ডাইনিং এর টায় যেতে হবে।ঝুমুরের পায়ে অনেক ব্যথা ছিল কিন্তু জোতিকে ডাকেনি ঝুমুর সে অনেক গভীর ঘুমে ছিল ঘুম নষ্ট হবে ভেবে ঝুমুর আর জোতিকে ডাকেনি।আস্তে আস্তে নিজেই খোরাতে খোরাতে যায় ওয়াশরুমে। ওয়াশরুম থেকে বের হতেই কেউ একজন পেছন থেকে ঝুমুরকে জড়িয়ে ধরে।ঝুমুর ভয়ে আতকে উঠে চারপাশ একদম অন্ধকার ছিল।
ঝুমুর : কে,,,কে? ছাড়ুন বলছি।
আহিল: তোকে খেয়ে ফেলব না আমি।
আহিলের গলা শুনে ঝুমুর একটু স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে।
ঝুমুর: আহিল ভাই আপনি?
আহিল: তুই এত মীরের সাথে, মীর তোর সাথে লেগে লেগে থাকে কেন? তুই এত কেন ঘুরিস ওর সাথে বারণ করাও পরেও কেন আবার গেলি ওর সাথে?
ঝুমুর: গেছি তাতে আপনার কি? কিভাবে ধরে আসেন আমাকে ছাড়ুন এটা মানুষের বাড়ি কি ভাববে সবাই?
আহিল: আমার কি? চল তোকে দেখাচ্ছি।
আহিল ঝুমুরকে কাধে উঠিয়ে নেয়।
ঝুমুর: ইয়া আল্লাহ কি করছেন এসব আহিল ভাই! নামান আমাকে।
আহিল সোজা ঝুমুরকে নিয়ে ছাদে আসে।কেউ জেনে যাবে এই ভয়ে ঝুমুর বেশি চিৎকার দেয়না।ছাদে নিয়ে এসে আহিল ঝুমুরকে নামিয়ে দেয়।অন্ধকারে কেউ নেই ভেবে ঝুমুর গায়ে ওড়না না জড়িয়েই বাইরে বের হয়। ভেবেছে পাশেই বাথরুম সবাই ঘুমে কে আসবে।
ঝুমুর নিজের চুলগুলো সামনে দিয়ে দেয়।
আহিল: ওড়না কই?
ঝুমুর: আমি কিভাবে জানব রাস্তার মাঝে কিডন্যাপার বসে থাকবে।
আহিল: আমি কিডন্যাপার?
ঝুমুর: যেভাবে তুলে নিয়ে এলেন তাই ত ভাবব? আমি ত ভাবলাম আপনি আবার আমাকে জোতি আপু ভেবে জড়িয়ে ধরেছেন।
আহিল: এবার বল তোর সমস্যা কি?
ঝুমুর: আমার আবার কি সমস্যা? আমার ত মনে হচ্ছে সমস্যা আপনার মাথায় হয়েছে!
আহিল: আমাকে পাগল বলতে চাইতেছিছ?
ঝুমুর: জানিনা।
আহিল ঝুমুরকে জড়িয়ে ধরে।
ঝুমুর: আ,,আহিল ভাই!! কি করছেন কেউ দেখে নিবে প্লিজ এমন করবেন না।
আহিল: তোর চুলের গন্ধ খুব সুন্দর
ঝুমুর: আপনি এখানে আমার চুলের গন্ধ শোকার জন্য নিয়ে এসেছেন?
আহিল: হুম।
ঝুমুর: ইয়া আল্লাহ ছাড়ুন।
আহিল: তুই কেন ওর সাথে বাইকে গেলি বল।?
ঝুমুর কিছু বলতে যাবে তার আগে ঝুমুর শুনতে পায় কারো পায়ের আওয়াজ।সাথে সাথে ঝুমুর আহিলকে টেনে সাইডে নিয়ে যায়।
আহিল: কি হলো বল!!।।
ঝুমুর: উফ চুপ করুন ত! কেউ মনে হয় আসতেছে।
আহিলের মুখ চেপে ধরে ঝুমুর।আহিল সুযোগ পেতেই ঝুমুরকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয়।
ঝুমুর: কি করছেন ছাড়ুন আমার দম বন্ধ হয়ে যাবে।
আহিল: আরেহ কাছাকাছি থাক যদি কেউ দেখে নেয়।
ঝুমুর মুখ বাড়িয়ে দেখার চেষ্টা করে কে এসেছে।ঝুমুর দেখে জোতি ফোনে কারো সাথে কথা বলতে বলতে ছাদে আসে।
জোতি: এতো রাতে ফোন করেছ কেন? আমি ঠিক আছি বাবা তুমি এত চিন্তা করোনা।আরে এত টেনশন নাও কেন আমি ত বললাম আমি আর আহিল মিলে বাসায় জানিয়ে দিব সময় মতো।আমি জানি তোমার ভয় লাগে কিন্তু বিশ্বাস করো আমি শুধু তোমাকেই ভালোবাসি আই লাভ ইউ।এবার রাখি হ্যাঁ অন্যের বাসায় আসি ভয় লাগে ওকে বাই।
কথাগুলো বলেই জোতি ছাদ থেকে চলে যায়।এই সব কথাগুলো কানে যায় ঝুমুরের।
ঝুমুর: এসব কি বলে গেল জোতি আপু? জোতি আপু কি অন্য কারো সাথে.???
আহিল: হুম জোতির বয়ফ্রেন্ড আছে।
ঝুমুর: কি? আর আপনি সেইটা জানেন?
আহিল: না জানার কি আছে? আমিই ত ওদের দেখা করাতে নিয়ে যাই।
ঝুমুর: কি???
আহিল: হুম আরে কাল গ্যারেজে জোতির বয়ফ্রেন্ড শান্ত এসেছিল দেখা করতে তাই ওকে নিয়ে বাইরে এসেছিলাম পাহারা দেওয়ার জন্য বুঝলি?
ঝুমুর: এগুলো কি বলছেন? বাসায় কেউ জানলে মেজমা জানলে ত আপুকে...
আহিল: তোকে এত ভাবা লাগবেনা, দেখ জোর করে বিয়ে দিলেই সংসার হয়না।সংসার করার জন্য ভালোবাসা থাকা লাগে যা আমার আর জোতির মধ্যে এক ফোটাও নেই।
ঝুমুর: উম,,,
আহিল: উম উম কি করছিছ, আমার কথার আগে জবাব দে।
ঝুমুর: তার মানে আপনি জোতি আপুকে বিয়ে করবেনা না?
আহিল: আমি কি ওকে বিয়ে করব না,, জোতিই আমাকে বিয়ে করবেনা ও স্কুল থেকে শান্তকে ডেট করে।
কথাটা শুনেই ঝুমুরের ঠোঁটের কোনে একটা হাসি ফুটে উঠে।অন্ধকারে তা দেখা না লেগেও আহিল বুঝতে পারে হয়তো ঝুমুর হাসছে
আহিল: হাসছিছ কেন?
ঝুমুর: কই না ত!
ঝুমুরের মনের মধ্যে এক অজানা অনন্দ তার পেটের ভেতর কাতুকুতু দিচ্ছিল তার সেই কাতুকুতুর ঠেলা ঝুমুরের চোখে মুখে স্পষ্ট ফুটে উঠেছিল।
আহিল: তোর নূপুর পছন্দ আমাকে বলতি আমি কিনে দিলাম আমি কি মরে গেছি।
ঝুমুর সাথে সাথে আহিলের মুখ চেপে ধরে বলে,,,
ঝুমুর: এমা,,মরতে যাবেন কেন হুট করে।
আহিল ঝুমুরের হাত সরিয়ে বলে,,,
আহিল: আর যেন বেশি মীরের সাথে কথা বলতে না দেখি তোকে।শুধু মীর কেন স্কুলেও কোন ছেলের সাথে মিশবিনা।
ঝুমুর: কেন? আমি মিশলে আপনার কি?
আহিল: সব কেন এর উত্তর হয়না।এখন নূপুরটা খোল যেহেতু মানুষ উপহার দিয়েছে তাই ফেলে দিতে বলব না।নিজের কাছেই রাখ কিন্তু পরবিনা।পায়ে যেন না দেখি।
ঝুমুর বা পা থেকে নূপুরটা খুলে আহিলের হাতে দিয়ে বলে,,
ঝুমুর: এই নিন এটা নিতে এত সমস্যা এটা ধরে বসে থাকো আমি গেলাম।
আহিল: আরে একা যেতে পারবিনা পায়ে লাগবে থাম।
বলেই আহিল ঝুমুরকে কোলে তুলে নেয়।
ঝুমুর: আ,,আমি যেতে পারব।
আহিল: বেশি পাকামি করিস না।একটা কথা বলি?
ঝুমুর: কি?
আহিল: তুই অনেক বড় হয়ে গেছিছ?
ঝুমুর: মানে? কই আর বড় হলাম তোমার ত কাধ পর্যন্তই হইতে পারলাম না।
আহিল: আমি হাইটের কথা বলিনি 

বলেই একটা বাকা হাসি দেয় আহিল।কিন্তু ঝুমুর বুঝতে পারেনা আহিল ঠিক কি বোঝারে চাইল।
ঝুমুর: এইখানেই নামান বাকিটা আমি যেতে পারব।
আহিল ঝুমুরকে নামিয়ে দিয়ে বলল,,,
আহিল: আস্তে যাস আবার লাগাস না।
ঝুমুর পা টিপে টিপে রুমে আসে।এসে দেখে জোতি সুয়ে পরেছে।
ঝুমুর: ( জোতি আপু হয়তো রুমের আলো দেয়নি তাই বুঝতে পারেনি আমি রুমে নেই)
ঝুমুর আস্তে করে সুয়ে পরে কিন্তু তার ঘুম আসেনা।সারারাত ছটফট করতে থাকে আর মাঝে মাঝে ফিকফিক করে হাসে।কেন যে তার এত আনন্দ লাগছে সে নিজেও বুঝতে পারছেনা কিন্তু এই অনুভূতিটা তার কাছে দারুন লাগছে।
সকালে.......
আহিল বাসার বারান্দায় দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিল,তখন জোতি এসে বলে,,
জোতি: গুড মর্নিং ব্রো!!
আহিল: মর্নিং!!
জোতি: তারপর বলো কেমন দিলাম কাল রাতে,, সে সব শুনেছিল ত? আমি কিন্তু অনেকটাই জোরে বলেছিলাম।
আহিল: হুম শুনেছে আর শুনে না হাসছিল।
জোতি: ব্রো আমার মনে হয় সেও তোকে অনেক লাইক করে।আমি ত একটা মেয়ে নাকি আমি বুঝতে পারি তুই আর দেরি করিস না বলে দে তোর মনের কথা।
আহিল: বলব বলছিছ? কিন্তু ওতো এখনো ছোট
জোতি: আরেহ ধুরু। এই বয়সে আমার কত বান্ধুবির বিয়ে হয়ে বাচ্চা কাচ্চা হয়ে গেছে ছোট নাকি সর।
আহিল চায়ে কাপে একটা চুমুক দিয়ে গভীর গলায় বলে,,,,
হুম্মম্মম্ম। more...
( আপনাদের কি মনে হয় আহিল নিজের মনের কথা বলতে পারবে তার ভালোবাসার মানুষকে?)
[ গল্প দেওয়া হবে প্রতিদিন রাত ১০-১১ টার মধ্যে ইনশাল্লাহ]
No comments: