Header Ads Widget

test

আমরন_চেয়েছি_তোমায় ০১


 

আমরন_চেয়েছি_তোমায়

লেখায়_সুরাইয়া_নওশিন
০১
নিজের ঘরে পায়চারি করছে সারা। বুকের ভেতর এখনও তুমুল ঝড় বইছে। কৈশোরের আবেগের বয়সের প্রথম ভালো লাগা ছিলো সানি মেহরাজ শিকদার। সেই বয়সে নাটক, সিনেমা দেখে বরাবরই কল্পনা করা হতো নিজেকে। সারার ক্ষেত্রেও তেমনটাই ছিলো। সানিকে সে ছোট থেকেই ভয় পেতো ঠিকি কিন্তু সে বয়সে আবেগের ফাঁদে পরলে ভয়ের থেকে আবেগটাই কাজ করে বেশি। আর এই আবেগের ফাঁদে পা বাড়িয়ে এমন একটা কাজ করে বসে ছিলো সারা। আর শা*স্তি সরুপ সানি মেহরাজ শিকদার এর শক্ত হাতে এক থা*প্পড়। সেই থা*প্পড় খাওয়ার পর সানির সামনে দাঁড়ায় নি সারা। তার গাঁয়ে আজ অবব্ধি কেউ হাত তুলে নি। তাই অভিমানটা বেশি কাজ করেছিল। আরও অভিমান কাজ করছিলো সানি একবারের জন্যও এসে সারার কাছে ক্ষমা চায় নি। এরপর টানা দশ দিন সারা জ্বরে ভুগেছিল একবারের জন্যও দেখতে আসেনি সানি সারাকে। তাই অভিমানটাও আরও ভীষণ রকমের গাঢ় হতে থাকে। তার একমাস পর পড়াশুনার উদ্দেশ্যে বিদেশে পারি দেয় সানি মেহরাজ শিকদার। এই এক মাস সারাও সানির সামনে যায় নি আর সানিও সারার সামনে আসে নি। এরপর সানি বিদেশে পারি জমালে সারা একবারের জন্যও খোঁজ নেই নি সানির। more...
ছয় বছর পর আবারও সানিকে দেখে তার চোখ সেখানে আটকে যায়, তার হৃদয়ে শুরু হয় ভ*য়ংকর এক তোলপাড়। বিষয়টি ভাবতেই খুবই বিরক্ত লাগছে সারার। সানির সেই গাঢ় চাহনি, তার অসাধারণ ব্যাক্তিত্ব, কথা বলার বাচনভঙ্গি, তার চলাফেরা, তার পোশাক, কৈশোর বয়সে মনে জায়গা করে নিয়েছিলো। সেই গাঢ় চাহনি,কন্ঠস্বর আবারও তার জীবনে আগমন। তবে এই ছয় বছরে তার মধ্যে আরও পরিবর্তন এসেছে। তার সৌন্দর্য যেন আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
সারার চোখে বার বার ভেসে উঠছে লম্বা, উজ্জ্বল শ্যামা গাঁয়ের রঙ, চাপ দাঁড়ি, গাঢ় চাহনি এক সুদর্শন পুরুষ। আর কানে ভাসছে তার গম্ভীর কন্ঠস্বর।
সারা আয়নার সামনে দাঁড়ায় এরপর ডান গালের দিকে তাকিয়ে নিজেই নিজেকে বলে,,
" দেখ ভালো করে চেয়ে দেখ। নির্লজ্জ মেয়ে কোথাকার। ঢ্যাং ঢ্যাং করে নির্লজ্জ বেহায়ার মতো ক্রাশ খাওয়ার আর মানুষ পেলি না। এই দুনিয়ায় সানি মেহরাজ শিকদার এর থেকে কি আর সুদর্শন পুরুষ নেই নাকি। এ তো আস্ত একটা রা*ক্ষস। তেরো বছর এর একটা মেয়েকে যদি এতো জোরে থাপ্পড় মারতে পারে এখন তো তোর উনিশ বছর বয়স কয়েক মাস পর বিশে পা রাখবি। এখন তোর এতো সুন্দর ফর্সা গুলুমুলু গালের নকশাই পালটে দিবে। না সারা এটা কখনও হতে দেওয়া যাবে না। তুই কোন ক্রাশ ট্রাশ খাস নি। এটা আতংক, সিডর, আইলা, ফণী, বুলবুল, আম্পান, ঝড় ছাড়া আর কিছু নয়। এই ভূত ছাড়াতে হবে সারা ।"
সারা কিছু ভেবে নিজের ফোন বের করে ডান গালের সেলফি তুলে নেয়। এরপর নিজের ফোনে কভার ফটো লাগিয়ে হাঁসি মুখে বলে উঠে,,
" Done"
এমন সময় বাইরে চেচামেচি শুনে দরজা খুলে হাল্কা উঁকি দেয় সারা। খান বাড়ির ছোট ছেলে রবিউল খান এর পুত্র আয়াদ_তৌসিফ_খান বাদরের মতো ঝুলে আছে সানির গলা ধরে। সানি মুচকি হেঁসে আয়াদকে জড়িয়ে ধরে আছে। সানির মুচকি হাঁসি দেখে সারার ছোট মনটা আবারও আহত হলো। মন খারাপ করে পা বাড়ালো আবারও নিজের ঘরের দিকে।
আয়াদ চেঁচিয়ে বলে,,
" গুরু ভাই চইলা আসছেন আপনি। এতো বছর আপনারে দেখে আমার অস্থির হৃদয় আজ শান্ত হলো।"
সানি আয়াদ এর মাথায় গাট্টা মেরে মুচকি হেঁসে বলে,,
" অভিনয় কম করে কর একটু। আমি এসেছি সকালে আর তুই বিকেলে এসেছিস ভালোবাসা দেখাতে।"
" বিশ্বাস করো গুরু ভাই আমি ভোর সকালে চলে আসি। কিন্তু গাড়ির টায়ার মাঝ রাস্তায় এসে হাওয়া ছেড়ে দিয়েছে। এর হাওয়া ভরাতে এতো দেরি। "
সানি মুচকি হেঁসে বলে উঠে,,
" তুই যে বাদর বাদরি রয়ে গেলি আর শুধরালি না"
" আপনি গুরু আমি শিষ্য
বুদ্ধি আমার কম
আপনি বুঝাইয়া দিলে
বুঝিতে সক্ষম"
সানি আয়াদকে নিজের থেকে সরিয়ে দিয়ে বলে,,
" যা সর, তোর বাদরামি বন্ধ কর।" more....
"এই তো ছোট বলে সব রাগ আমাকে দেখাচ্ছো, আমি না হয় টুরে গিয়ে গাড়ির জন্য আটকা পরেছি। কিন্তু বড় ভাই এখন কেন এলো বল বল। জিজ্ঞেস করো তাকে একবার। "
সানি পাশে দাঁড়িয়ে থাকা খান বাড়ির ছেলে রায়হান খানের পুত্র সাফি_মেহতাব_খান কে উদ্দেশ্য করে বলে আয়াদ। সাফি সানির পাশে দাঁড়িয়ে মিটিমিটি হাঁসছে।
" সাফি ভাইয়ের সাথে আমার কয়েক বার কথা হয়েছে। ভার্সিটির কাজে খুবই বাজে ভাবে আটকা পরেছে বিধায় আসতে দেরি হলো। তুই কয় বার ফোন দিয়েছিস। উল্টো আমি তোকে ফোন দিয়েছি কিন্তু ফোন সুইচ অফ।"
আয়াদ জিহবা কামড় দিয়ে বলে,,
" সরি ভাই ফোনে চার্জ শেষ হয়ে গিয়েছিলো। "
" একটু তো সিরিয়াস হো এখন, বাসার সবাই দুশ্চিন্তা করে। "
" ওকে গুরু তুমি পরে সময় নিয়ে জ্ঞ্যান দিও আমাকে। এখন আমি ফ্রেশ হই আগে। "
" আচ্ছা যা।"
সানি সাফিকে উদ্দেশ্য করে বলে,,
" ভাই তুমিও ফ্রেশ হয়ে নাও। "
" হুম। তুই চল আমার রুমে। "
তিনজন সিড়ি বেয়ে উপরে উঠার সময় খান বাড়ির ছোট কর্তা রবিউল খান এর স্ত্রী নূর নাহার বেগমকে দেখে সাফি বলে,,
" ছোট মা সারা আর আয়রা কোথায়। মা আর মামুনিকেও দেখছি না।"
" ভাবি, আপা মনি আর আয়রা বাইরে গিয়েছি একটু এখনই চলে আসবে। আর সারা ঘরেই আছে। কি যে হয়েছে মেয়েটার সারাদিন ঘর থেকেই বের হয় নি। আর ওর যে জেদ প্রশ্ন করলেও জবাব দিবে না। তোর আদরের বোন তুই শোন গিয়ে। "
সাফি স্বাভাবিক ভাবে জবাব দেয়,,
" আদরে মাথায় তুলেছেন আপনারা এখন আমার আদরের বোন। শাসন করতে দেন ওকে আপনারা। একটু কিছু বলতে যাওয়ার আগে সবাই এক সাথে লাইন ধরে দাঁড়ান। প্রথমে মামুনি, এরপর আপনি, এরপর মা আর কিছু বলতে পারি আমি।"
" ওই একটু আকটু জেদ বিয়ের পর ঠিক হয়ে যায়। "
" এই তো একই ডায়লগ শুনতে শুনতে আমার মুখস্থ হয়ে গিয়েছে। "
সানি তার মতো চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে। তার চেহারায় কোনো ভাবান্তর নেই। আয়াদ মুখে হাঁসি এনে সানির দিকে তাকিয়ে বলে,,
" সানি ভাইকে বলেন এক থাপ্পড়ে সব জেদ তাড়িয়ে দিবে।"
সানি চোখ পাকিয়ে তাকায় আয়াদ এর দিকে। আয়াদ সঙ্গে সঙ্গে চুপ হয়ে যায়। আর এক গাল হাঁসি উপহার দেয় সানিকে।
সারার পাশের ঘরটা সাফির, এর পরের ঘর সানির তার পরের ঘর আয়াদ এর। সারার ঘর পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সময় দেখে ঘরের দরজা ভেতর থেকে লাগানো। সাফি সারাকে ডাকতে চাইলে সানি বাধা দেয়।
" থাক ভাই। একা থাকতে দাও ওকে। "
!!!***!!!***!!!***!!!***!!!
খান বাড়ির বড় কর্তা রায়হান খান তার ছেলে সাফি_মেহতাব_খান প্রাইভেট ভার্সিটির অ্যাকাউন্টিং ডিপার্টমেন্ট লেকচারার সাথে খান বাড়ির নিজস্ব ব্যবসা খেয়াল রাখে। পুরো দিন কাটে ব্যস্ততায়। বাবার কথা অবাধ্য একটাই হয়েছে প্রাইভেট ভার্সিটির লেকচারার হিসেবে নিয়োজিত থাকা। এছাড়া আর কোনো কথার অবাধ্য হয় নি সে। তবে এক ভয়ংকর অতীতে এ রায়হান খান এর কাট গড়ায় দাঁড়াতে হয়েছিল ওটাই প্রথম ওটাই শেষ। আর দ্বিতীয় বার দাঁড়াতে হয় নি। শিক্ষতা তার স্বপ্ন। তার সব স্বপ্ন মরে গিয়েছে শুধু মাত্র এই একটা স্বপ্ন আঁকড়ে রাখতে সক্ষম হয়েছে সে। সানি থেকে তিন বছরের বড় সাফি এ জন্য দুজনের মধ্যে ভালো সম্পর্ক ছোট থেকেই। এবার ২৮ এর গন্ডিতে পা রেখেছে। পড়াশোনা একই স্কুলে শুধু ক্লাসটা ভিন্ন।
রায়হান খান এর মেয়ে সারা_মেহরুন_খান স্বভাব পুরো বাড়ি মাতিয়ে রাখে। রায়হান সারাকে অনেকটাই ছাড় দেন৷ কিন্তু সাফি রায়হান খানের শাসন থেকে বিন্দু মাত্র ছাড় পায় নি। সারা প্রাইভেট ভার্সিটিতে ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট ১ম বর্ষের পরীক্ষা শেষ করলো এবার। সারা পাবলিক ভার্সিটিতে এডমিশন দিবে না জোরও করা হয় নি। অথচ সাফির ইঞ্জিনিয়ারিং পেশা ইচ্ছে থাকলেও পারিবারিক ব্যবসার হাল ধরতে অ্যাকাউন্টিং ডিপার্টমেন্ট এ পরতে হয়েছে। তাও রায়হান খান এর কড়া আদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এডমিশন নিয়ে। সারা প্রাইভেট ভার্সিটির অ্যাকাউন্টিং ডিপার্টমেন্ট এর লেকচারার সাফি।
খান বাড়ির ছোট কর্তা রবিউল খান। তার ছেলে আয়াদ_তৌসিফ_খান। এই বার ইঞ্জিনিয়ারিং পাবলিক ভার্সিটিতে এডমিশন দিয়েছে এবার রেজাল্ট এর অপেক্ষা। এখানেও রায়হান খানের কড়া আদেশ বুয়েটে চান্স পেতে হবে। ঢাকার বাইরে যেতে দিবে না সে। আয়াদ এর স্বভাব চঞ্চল। সাফি সানি যতটা বাধ্য আর শান্ত আয়াদ ততটাই চঞ্চল। যদিও কখনও বড়দের সাথে তর্কে জড়ায় না। তবে তাকে যতই কথা শোনানো হোক না কেন সে তার ইচ্ছে মতো ঘুরবেই। বাকিটা পরে দেখা যাবে এমন স্বভাব তার। সারার থেকে এক বছরের ছোট আয়াদ। দুজনের মধ্যে টুকিটাকি ঝগড়া লেগেই থাকে। কারন দুজনের স্বভাব একই।
রবিউলের মেয়ে আয়রা_তাহমিম_খান। মাত্র ১০ বছর বয়স। উচ্চ মাধ্যমিক এর গন্ডিতে পা রাখলো এবার।
খান বাড়ির দুই ভাইয়ের চোখের মনি একমাত্র বোন শায়লা বেগম। যদিও রায়হান খান এর সাথে মান অভিমান এর দন্ড চলমান। শায়লা বেগম এর একমাত্র ছেলে সানি_মেহরাজ_শিকদার। সার্জারি ডিপার্টমেন্ট এ জার্মানি থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরে এসেছে। mnore....
!!!!****!!!!!*****!!!!!!*****!!!!!
সারাদিন দেশে রাতের খাবারটা খান বাড়ির সদস্যরা এক সাথেই খায়। সকাল দুপুরে যে যার কাজে চলে যায় বিভিন্ন সময় তাই এক সাথে আর খাওয়া হয় না।
শুধুমাত্র রাতটুকু একসাথে খায় আর কিছু সময় একে অপরকে সময় দেয়।
এখন খান বাড়ির সদস্যরা রাতের খাবার এর জন্য ডায়নিং বসেছে। সারাও এসেছে রাতে সবার সাথে না খেলে রায়হান খান এর নানা প্রশ্নের জবাব দিতে হতো। এর থেকেও বড় ভয়ানক তার ভাই সাফি। এই বাড়িতে সাফি উচ্চ কন্ঠে কথা বলে তার সাথে। সব কিছু ভেবে সারা অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও রাতের খাবার খেতে বসেছে। তবে এক পলকও তাকায় নি সানির দিকে।
কিন্তু বেশ অসস্তি লাগছে সারার।
সানি খেতে খেতে সকলের উদ্দেশ্যে বলেন,,
"আপনাদের সাথে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা ছিলো আমার।"
সারার মনে চাচ্ছে কানে তুলো ঢুকিয়ে রাখতে। যাতে এই মানুষটার কন্ঠ তার কান অবব্ধি না পৌঁছায়।
রবিউল খান খেতে খেতে জবাব দেয়,,
" হ্যাঁ বলো।"
"আপনাদের সাথে আমার কিছু কথা শেয়ার দরকার।
আমি একটা হসপিটাল খুলছি। পুরোপুরি কার্জকর্ম শেষ। পরশু দিন সন্ধ্যায় উদ্ভোদন করা হবে। আপনারা সবাই পরশু সন্ধ্যায় আমার জন্য এক ঘন্টা সময় রাখবেন। "
রায়হান খান গম্ভীর কন্ঠে বলে,,
"এতো কিছু করেছো উদ্ভোদন আমাদের ছাড়া করে নাও।।"
সানি এমনটাই জবাব আসা করে ছিলো। সানি মুখে হাঁসি রেখে জবাব দেয়,,
"বড়দের দোয়া ছাড়া কোনো কাজ ভালো ভাবে সফল হয় না। আর আপনারা আপনাদের ব্যবসার কাজে ব্যস্ত থাকেন এদিকে এতো ভাবতে পারবেন না জানি। আমি সাফি ভাইকে আর আমার বন্ধুদের বলেছিলাম তারাই সাহায্য করেছে। নয়তো এতো তাড়াতাড়ি সম্ভব হতো না। আর হসপিটাল দেওয়া অনেক ভালো কাজ আপনাদের আপত্তি থাকবে না এটা আমি জানি। তাই মূলত আপনাদের সারপ্রাইজ দিতে চেয়েছিলাম। বিশেষ করে মা কে এই জন্য বলা হয় নি।"
রবিউল খান হাঁসি মুখে বলে,,,
"ভালো করেছো? দোয়া করি লাইফে এই ভাবে এগিয়ে যাও আর সাকসেস হও।"
সানি অনুরুপ হাঁসি মুখে বলে,,
" ধন্যবাদ ছোট মামা।"
রায়হান খানকে উদ্দেশ্য করে বলে সানি,,
"বড় মামা আপনি যাবেন তো?"
রায়হান খান গম্ভীর কন্ঠে বলে,,
"যেতে আপত্তি কোথায় আর। হসপিটালের নাম কি রেখেছো? "
"এস এম এস হসপিটাল। অর্থাৎ সাগর মাহিন শিকদার। যেহেতু আমার ডাক্তার হওয়া এই সব হসপিটাল দেওয়া আমার বাবার স্বপ্ন ছিলো তাই তার নাম রাখাটাই ভালো মনে করলাম। তবে আরও হসপিটাল খুলার ইচ্ছে আছে আমার, সেগুলো অবশ্যই আমি আপনার পছন্দ করা নামটাই রাখবো।"
"লাগবে না আমার। তোমার বাবার অসম্পূর্ণ ইচ্ছে তুমি পূরন করো। তোমার বাবা তো দোয়া দিয়েছে সেখানে আমার দোয়া কোনো প্রয়োজন নেই।"
সানির ঠোঁটে অনুরুপ স্মিত হাঁসি।
" অবশ্যই প্রয়োজন আছে। আপনি আমার পিতা সমতূল্য। বাবাকে তো আগেই হারিয়েছি। তার আদর স্নেহ, শাসন খুব অল্প দিনই আমার ভাগ্যে জুটেছিলো।আপনার কড়া শাসনে, স্নেহে বেড়ে উঠা। আপনার কড়া শাসনের কারনে পথভ্রষ্ট হই নি, আর লক্ষ্য পূরন করতে পেরেছি। আপনার দোয়া অবশ্যই প্রয়োজন আছে।"
সারা এতোক্ষণ খাবার এর দিকে তাকিয়ে থাকতে পারলেও এবার আর পারলো না। সারার পাশে বসা ছিলো আয়রা, আয়াদ, সাফি এর পর সানি। সারা পাশ ফিরিয়ে তাকায় সানির দিকে। সেই একই রকম অসাধারণ ব্যাক্তিগত, কথা বলার বাচনভঙ্গি, ধীর কন্ঠস্বর। পরনে ধূসর রঙের টি শার্ট সানির আবারও সারার চোখ আটকে যায় সানির দিকে।
রায়হান খান প্রসঙ্গ পাল্টালেন। প্রসঙ্গ পালটিয়ে গম্ভীর কন্ঠে বললেন,,
" শিকদার বাড়িতে জানিয়েছো।"
" না জানানো হয় নি। কালকে গিয়ে জানিয়ে আসবো।"
" আমি যদি যাই সেখানে কোনো ঝামেলা দেখতে পারবো না। ঝামেলা হলো সরাসরি চলে আসবো কিন্তু আমি।"
" ঝামেলা হবে না ইনশাআল্লাহ। আপনি তো রাগ করেন নি বড় মামা।"
" রাগ করার কি আছে। তোমার জীবন তোমার সিদ্ধান্ত।"
" আপনারও সিদ্ধান্ত দেওয়ার অধিকার রয়েছে বড় মামা। আমার উপর আপনার অধিকার রয়েছে। অবশ্যই আমার জীবনে আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।"
" তেমনটা যদি বুঝতে তাহলে যে খান বাড়িতে তোমারও যে দায়িত্ব আছে তুমি নিশ্চয়ই সেটা বুঝতে। শিকদার বাড়ির দায়িত্ব পালন করতে উঠে পরে লাগতে না।"
" আমি জানি আমার দায়িত্ব রয়েছে। কি দায়িত্ব পালন করতে হবে বলুন আপনি কি চান, আমি অবশ্যই করার চেষ্টা করবো।"
" খান বাড়ির ব্যবসায় তোমারও ভাগ রয়েছে। সে দায়িত্ব কে নিবে। আমরা আর কত দিন? আমরা কি বুড়ো বয়সেও খেটে যাবো।"
" ভাগ আমার চাই না। তবে আপনারা কাজ করতে বলছেন আমি করবো মামা। আমি যথাযথ সাধ্য চেষ্টা করবো। " more...
সকলের মধ্যে আর কিছুক্ষণ কথোপকথন চললো। তবে সারা এখনও তাকিয়ে আছে সানির দিকে। সানি এবার সারার দিকে তাকায়। সারার দৃষ্টি স্থির। সারার দিকে তাকিয়ে সানি ভ্রু নাচায় কয়েকবার। তৎক্ষনাৎ হুশ আসে সারার। আবারও বড় রকমের বিষম খায় সারা।
সারার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা রায়হান খান এর স্ত্রী শাহানা বেগম সারার দিকে পানি এগিয়ে দিতে দিতে বলেন,,
" তোর আবার কি হলো। আস্তে ধীরে খেতে পারিস না। সব সময় ছটফটে স্বভাব তোর।"
সারা এক ঢোকে পানি টুকু খেয়ে নেয়। সানি আবারও খাওয়ার দিকে মনোযোগ দেয়। সারা মনে মনে স্থির করলো সব কিছু উলটপালট হয়ে গেলেও আর এই মানুষটার দিকে তাকাবে না।
রাতের খাওয়া শেষ করে সারা নিজের ঘরে আসে। ফোন হাতে নিয়ে দেখে আরহি মেসেজ। সারা আরহিকে ফোন করে তৎক্ষনাৎ। কয়েকবার রিং বাজতে ফোন ধরে আরহি,,
" আসসালামু আলাইকুম জানু"
" ওয়ালাইকুম আসসালাম। রাখ তোর জানু। কখন তোকে মেসেজ দিয়েছি আর রিপ্লাই দিয়েছিস এখন। কি এমন কাজ করলি তুই।"
" আরে রেগে যাচ্ছিস কেন? খালা মনি এসেছিলো এই জন্য ব্যস্ত ছিলাম। তোর কি খবর বল? বাসার সব ঠিকঠাক কিছু হয় নি তো? এতো জরুরি তরফ।
সারা মুখ গম্ভীর করে জবাব দেয়,
" হু। সব ঠিকঠাক। "
আরহি অনেকটা আগ্রহ নিয়ে বলে,,
" জানু দেখা হয়েছিলো সানি ভাইয়ের সাথে। "
সারা বিরক্ত ভরা কন্ঠে বলে,,
" হু হয়েছে।"
আরহি আগ্রহ আরও শত গুন বেড়ে যায়। উৎফুল্ল কন্ঠে বলে,,
" তাই নাকি। কি বললো ভাইয়া তোকে। ভাইয়া দেখতে কেমন হয়েছে রে। ক্রাশ খেলি নাকি আবার।"
সারা রাগী কন্ঠে বলে উঠে,,
" শা*ক চু*ন্নি তুই আমার সামনে আয় তোর উপর দিয়ে ট্রাক চালাবো আমি। মজা নিশ তুই আমার। এই তুই আমার বেস্ট ফ্রেন্ড। এর প্রতিদান দিচ্ছিস তুই।"
আরহি হাঁসতে হাঁসতে বলে,,
" আচ্ছা সরি। আর কিছু বলবো না। শুধু বল সানি ভাইয়াকে থ্যাংকস জানিয়েছিস নাকি। এতো সুন্দর গিফট দিলো থ্যাংকস কিন্তু প্রাপ্য জানু।"
" তুই দিয়ে যা থ্যাংকস। বিরক্ত,,"
কথাটি বলে ফোন কেটে দিলো সারা। আরহি একটু মজা নিচ্ছে। সারার সাথে সচারাচর মজা নেওয়ার সুযোগ পায় না। এই বার পেয়েছে হাত ছাড়া করার মতো বোকামি করা যায় না। এখানে সারা থাকলে তার পুরো মাথা খেয়ে নিতো। সেই তুলুনায় আরহি কম করেছে।
বেলকুনিতে দাঁড়িয়ে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রাতের আকাশ দেখছে সানি। নিস্তব্ধ চারিপাশে, মাঝে মাঝে দূর থেকে কানে ভেসে আসছে যানবাহন, আর মানুষ এর কিছু কোলাহল। মাঝে মাঝে রাতের শীতল বাতাস ছুঁয়ে দিচ্ছে গাঁ। সানি এক দৃষ্টিতে আকাশের দিকে তাকিয়ে বলে,,
"তোমার চোখে অপরাধী আমি। অথচ তোমার জন্য সবার কাঠ গড়ায় দাঁড়িয়ে আমি।
আজ তোমাকে পরিপূর্ণ করতে গিয়ে শূন্যতায় ভাসছি আমি।"
সানির ভাবনার বিচ্ছেদ ঘটে সাফির আওয়াজ শুনে,,
" সানি"
সানি তৎক্ষনাৎ নিজেকে স্বাভাবিক করে জবাব দেয়,,
" হ্যাঁ ভাই। এসো"
সাফি মুচকি এসে ঘরের ভেতর প্রবেশ করে। বেলকুনিতে এসে সানির পাশে দাঁড়িয়ে নরম কন্ঠে বলে,,
" মন খারাপ।"
সানি মুচকি হেঁসে জবাব দেয়,,,
" না ভাই।"
সাফি সানির পিঠে হাত রাখে। নরম কন্ঠে শুধালো,,
"কষ্টকে আড়াল করতে পারা ভালো গুন। বড় হয়ে গিয়েছিস তুই। আর তাহলে আমাকে শান্তনা দিতে হবে না। আজ থেকে আমার ছুটি।"
সানি সাফির দিকে তাকিয়ে মৃদু স্বরে হাঁসে। সানি আবারও আকাশের দিকে তাকিয়ে বলে,,
" তুমি সবটা মেনে নিয়ে এখনও কিভাবে আছো ভাইয়া।"
সাফি সানির পিঠ থেকে হাত সরিয়ে বেলকনির রেলিং এ দুই হাত রেখে আকাশের দিকে তাকিয়ে বলে,,
" মানুষের সাথে ইটের একটা মিল রয়েছে জানিস। ইটকে পোড়ানো হলে শক্ত হয়, মজবুত হয়। ঠিক তেমন মানুষ যত ভেতরে ভেতরে পুড়ে ক্ষত বিক্ষত হয় মানুষ ততটা শক্ত আর মজবুত হয়।
কিন্তু যখন ইটকে বেশি পোড়ানো হয় তখন ভঙ্গুর হয়ে যায়। হাল্কা আঘাতে ভেঙে পরে যায়। তাই নিজেকে এতো পোড়াস না।
মানুষের গন্ডি মেনে নাও,নয়তো মানিয়ে নাও এই টুকুর ভেতর।
আমিও মেনে নিয়ে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছে। কোথাও এক জায়গায় পড়েছিলাম আমি "একদিন এই জিতে জিতে হারার গল্প ফুরিয়ে যাবে, কিছু মেনে নিও,
কিছু মেনে নিতে হয়, কিছু মেনে নেয়া জরুরি।"
এতো ভেঙ্গে পরলে চলবে৷ সবাই তো আসবে হাতিয়ার হয়ে ভাঙ্গার জন্য। নিজের পাহারাদার নিজেই হতে হবে।
এতো ভাবিস না গিয়ে ঘুমিয়ে পর। "
" ভাইয়া আমি পারবো তো।"
" তোর উপর আমার দৃঢ় বিশ্বাস রয়েছে। পারবি তুই। শুধু আশ্বাস রাখ।"
সাফি চলে গেলে সানি আরও কিছু সময় তাকিয়ে থাকে আকাশের দিকে। এই আকাশ বুঝায় অসীম দূরত্ব আর এক বিশাল শূন্যতা।
ভোর সকালে ফজরের নামাজ পরে বেলকুনিতে দাঁড়িয়ে ভোরের মিষ্টি আবহাওয়া উপভোগ করায় সারা। ভোরের আবহাওয়া যেন একটি নতুন সূর্যের আলোয় রাঙানো স্বপ্ন। আকাশে ছড়িয়ে রয়েছে রঙবেরঙের তুলোর মতো মেঘ, যেগুলো সূর্যের প্রথম কিরণ গুলোকে সোনালী রঙে বাঁধতে ব্যস্ত। টাটকা বাতাসে মেশানো আছে রাতের শীতলতার অবশিষ্টাংশ, যা মুখে লাগতেই এক ধরনের প্রশান্তি অনুভব করায়।প্রতিটি সূর্যোদয় নতুন একটি দিন শুরু করার প্রতিশ্রুতি।
হুট করে চোখ যায় খান বাড়ির প্রবেশপথ এর গেটের দিকে। প্রথমে প্রবেশ করলেন রায়হান খান আর রবিউল খান।
এরপর প্রবেশ করেন সানি,সাফি আর আয়াদ। তিন ভাইয়ের গল্প চলছে। সানি মুখে সেই স্মিত হাঁসি। পরনে হাল্কা আকাশী রঙের পাঞ্জাবি, সাদা প্যান্ট। সকালের টাটকা সতেজ আবহাওয়ায়, সূর্যের সোনালী কিরনে সানির উজ্জ্বল শ্যামা গাঁয়ের রঙ যেন জ্বলজ্বল করছে।
তৎক্ষনাৎ সারা নিজের ডান গালে হাত রেখে ঘরে প্রবেশ করে বিরবির করে বলে,,
" সকাল সকাল মুডটাই খারাপ দিলো। "
ভার্সিটি যাওয়ার উদ্দেশ্যে তৈরি হয়ে নিলো সারা। পরনে ছাই রঙের থ্রি পিচ আর কালো রঙের হিজাব বেধেছে সারা।
ভার্সিটিতে বেশির ভাগ দিন সাফি সারাকে আর আরহির বাড়ি পাশে থাকায় আরহিকেও নিয়ে যায়। যেই দিন ভিন্ন সময়ে ক্লাস পরে যায় সেই দিন বাড়ির ড্রাইভার সারাকে আর আরহিকে ভার্সিটিতে পৌঁছে দেয়, নয়তো রিক্সা করে চলে যায় আরহি আর সারা। আরহি শুরুতে শুরুতে যেতে চাইতো না তবে সারার জেদের কারণে যেতে হতো। আর এখন দৈনন্দিন এক তালিকায় এসে পরেছে।
সারা বাড়ির সবার সাথে কুশল বিনিময় করে চলে যায় খান বাড়ির প্রবেশপথ গেটের সামনে। সাফি গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করছিলো সারার জন্য। সারা হাঁসি মুখে গাড়ির দরজা খুলে গাড়ির ভেতর বসে গাড়ির সামনে সিটে সাফির পাশে বসে থাকা মানুষটিকে দেখে অমনি তার হাঁসি মুখ খানা চুপসে যায়। মুহুর্তে বিলীন হয়ে যায় তার মুখে লেগে থাকা এক মায়াবী চিলতে হাঁসি। সারার গাঁয়ের রঙ ফর্সা বলা যায়, তবে তার চোখ জোরা ভীষণ মায়াবী। তার হাস্যজ্বল মুখ এর সাথে তার চোখ জোরা যেন আবেগ ময় এক সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলে। সারা ফোলা গাল আর ঠোঁটের নিচে বিউটি স্পষ্ট যেন সারার সৌন্দর্য দ্বিগুণ বাড়িয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে।
সানি মাথা নিচু করে তখন থেকে ফোন দেখেই চলেছে। সানি একবারের জন্যও দৃষ্টি রাখে না সারার দিকে। সারা রাগ বাড়ানোর জন্য এই কারনটা যথেষ্ট। মনে মনে আওড়ালো,,
" ভাব দেখো। মনে চায় বুড়িগঙ্গা নদীতে একশবার চুবিয়ে নিয়ে আসি। ভাবে কি নিজেকে হু। এই সারাও কম সুন্দর না। শুধু এই হুতুম প্যাঁচা ভাইটার জন্য কেউ প্রপোজ করার সাহস পায় না। নয়তো সারা দেখিয়ে দিতো তার বয়ফ্রেন্ড কত সুদর্শন পুরুষ হয়৷"
আরহি বাড়ির সামনে ব্রেক করে থামে সাফি। মুহুর্তে ভাবনার ব্যঘাত ঘটে সারার। আরহি রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলো। গাড়ি দাঁড়াতেই সারা ভেতর থেকে দরজা খুলে দেয়। আরহি সিটে বসতে বসতে বলে,,
" আসসালামু আলাইকুম স্যার।"
সাফি গাড়ি ড্রাইভ করতে করতে জবাব দেয়,,
" ওয়ালাইকুম আসসালাম। "
আরহির চোখ যায় সামনে বসে থাকা সানির দিকে। আরহি অবাক হয়ে সারার দিকে তাকায়। আরহি চোখের ইশারা করতেই চোখ পাকায় সারা। আরহি তৎক্ষনাৎ চুপ হয়ে যায়। আরহি এমনিতেও সাফি সামনে থাকলে কথা বলে না। জমের মতো ভয় পায় সাফিকে। কখনও উচ্চ স্বরে কথা বলে নি আরহি সাথে। তবুও তার ভয় পাওয়ার কারন তার শিক্ষক এবং সাফির গাম্ভীর্য।
কোনো মেয়েলি কন্ঠস্বর শুনে ফোন থেকে চোখ সরায় সানি। একটু পেছন ঘুরে এক পলক তাকিয়ে আবার সামনের দিকে তাকায় সানি। সাফিকে উদ্দেশ্য করে বলে,,
" এই আরজু চাচার মেয়ে না।"
সাফি সামনে তাকিয়ে জবাব দেয়,,
" হুম"
সানি হাল্কা সুর টেনে বলে,,
" ওওওও"
সাফি সানির দিকে একবার ভ্রু বাঁকিয়ে তাকিয়ে আবারও সামনের দিকে তাকায়।
আরহি এবার নড়ে চড়ে বসে। সারাকে একটু রাগাত্বে সানিকে সালাম দেয়,,
" আসসালামু আলাইকুম ভাইয়া।"
সানি হাঁসি মুখে জবাব দেয়,,
" ওয়ালাইকুম আসসালাম আপু। কেমন আছো?"
আরহি এবার একটু বেশি খুশি হলো। সানির জবাব পেয়ে। সারাকে জ্বালানোর মোক্ষম সুযোগ।
" জ্বি ভাইয়া আলহামদুলিল্লাহ। আপনি কেমন আছেন?"
" হুম আলহামদুলিল্লাহ ভালো। আরজু চাচা কেমন আছে?"
" বাবা একটু অসুস্থ। তবুও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছে।"
" চাচাকে আমার সালাম দিও।"
" ঠিক আছে ভাইয়া।" more......
আরহির বাবা টুকটাক খান বাড়ির কাজ করে দিতো, মাঝে মাঝে সাফি আর সানিকে স্কুলে নিয়ে যেতো আবার নিয়ে আসতো। সেই সুবাধে ভালো চেনা। তার ছোট মেয়ে আরহি। আরহি সাথে সারার ভালো বন্ধু হওয়ায় খান বাড়ির সাথে সম্পর্কটা আরও জোড়ালো। আরহি মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়ে। বিলাসবহুল জীবন না থাকলেও খুব সুন্দর হাঁসি খুশি জীবন চলে যায় তাদের।
সানিকে আরহির সাথে কথা বলতে দেখে সারার রাগ ক্রমান্বয়ে আরও বেড়ে বিশাল আকৃতি ধারন করেছে এবার।
কথা তো দূর তার দিকে তাকাই নি পর্যন্ত অথচ অন্য একটা মেয়ের সাথে ঠিক হাঁসি মুখে কথা বলছে। সারার ইচ্ছে করছে সানির মুখে বোমা ফেলতে। মনে মনে সারা আওড়ালো,,
" ছোট বেলায় কি প্রপোজ করেছি তার অহংকার আর ভাব খান দেখো । না কথা বললো তাতে আমার কি। আমিও কথা বলার জন্য বসে নেই। "
সারা ফোনের স্ক্রিনে আলো জ্বালিয়ে ওয়ালপেপার এর ছবিটা দেখে নিলো একবার।
চলবে____
নেক্সট" বা ❤️ কমেন্ট করো — যদি 1090 থেকে নোটিফিকেশন পাও, তাহলে বুঝে নাও নতুন পর্ব চলে এসেছে! আরও আপডেট পেতে ফলো করতে ভুলে যেয়ো না! more.....
All reacti
4

No comments:

720

Powered by Blogger.