Header Ads Widget

test

রৌদ্দুরে_চোরাবালি


রৌদ্দুরে_চোরাবালি
১৭
Neel
রৌদ্দুর ফিসফিস করে বলল - সরি হুর পরী, সরি।তোকে এভাবে হারাম ভাবে স্পর্শ করার ইচ্ছে ছিল না। কিন্তু...
হুরের কথা মনে পড়তেই হুরের পিছু পিছু ছুটলো।
আমি দ্রুত বাড়ির দিকে দৌড়াচ্ছি।থামার নাম গন্ধ ই নেই। আমার মনে হচ্ছে আমার সাথে কেউ আমাকে ফলো করছে। আমি দৌড় থামিয়ে দিয়ে পিছন ফিরে তাকালাম।নাহ্ কেউ নেই। কিন্তু আমি ভুল হতে পারি না। কেউ তো ছিলই আমার পিছনে। হঠাৎ মনে পড়ল,রৌদ্দুর ভাইয়ের উপর চড়া সেই কড়ই গাছের ভূত নয় তো?
এর মধ্যেই আমার থেকে কিছু দূর দূরত্বে রৌদ্দুর ভাইয়া জোরে ডাক দিয়ে বলল - এই হুর , দাঁড়া বলছি।(রাইটার -নীল)
ইরেএএ তার মানে আমি ঠিক।ভূত টা রৌদ্দুর ভাইয়া কে ছেড়ে আমার পিছু নিয়েছে। না না, মনে হয় ভুত দুইটা।এতো ক্ষন আমি আস্তে আস্তে দৌড় দিয়েছি, এখন রৌদ্দুর ভাইয়া কে পিছনে দেখে আরো জোরে দিলাম দৌড়।এখন কোন ভাবেই ভূত আর রৌদ্দুর ভাইয়ের হাতে পড়া যাবে না।
বাসায় পৌঁছে গেছি। দরজার সামনে দাদি দাঁড়িয়ে আছে। আমি দৌড় দিয়ে হাঁপিয়ে গেছি।হাপাচ্ছি।
দাদি - কীরে? এবার ক্ষান্ত হয়েছিস তো, বৃষ্টি তে ভিজে,তোকে নিয়ে যে আমি কি করি...
পিছন থেকে রৌদ্দুর ভাইয়া বলল-ওরে কয়টা দেও তো দাদি। তোমার নাতনি আস্ত একটা ভিতু।
রৌদ্দুর ভাইয়া কে দেখে জোরে একটা চিৎকার দিয়ে রুমের দিকে দৌড় দিলাম আর বলতে লাগলাম - ভূত,ভূত কড়ই গাছের ভূত, রৌদ্দুর ভাইয়া কে কড়ই গাছের ভূত ধরেছে।
রুমের ভেতর এসে দরজা বন্ধ করে দিলাম।
বিকেলে, আমাকে দেখে সবাই হাসা হাসি শুরু করছে। ইশ্ সবাই হাসতেছে কেন? রমেলা খালার ৩২ পাটি দাঁত দেখে মেজাজ তুঙ্গে উঠেছে। কোমরে হাত দিয়ে চিৎকার করে বললাম- তোমরা সবাই এমন অদ্ভুত ভাবে হাসতেছো কেন?
রমেলা খালার অদ্ভুত হাসি থামিয়ে বললো - কীরে, সক্কালের বৃষ্টি তে তুই নাকি কড়ই গাছের ভূত দেহোছোস।
আবার হাসতে লাগলো।
চাচি - তোকে আবার ভুত কিছু করে নাই তো?
হঠাৎ পিছনে কেউ আমার মাথায় টোকা দিল। উফ্ অসহ্যকর, পিছনের দিকে তাকিয়ে দেখি রৌদ্দুর ভাইয়া।সেও রমেলা খালার মতো ৩২ পাটি দাঁত বের করে হাসি দিল। আমি এক লাফে চাচির পিছনে গিয়ে দাঁড়ালাম। বললাম - আমাকে ধরে নাই কড়ই গাছের ভূত। আমি তো দেখছি। রৌদ্দুর ভাইয়া কে ধরেছে।তাই তো সে হুঁশ হারিয়ে আ..(সাথে সাথে রৌদ্দুর ভাইয়া আমার মুখ চেপে ধরে)
রৌদ্দুর ভাইয়া আমার কানে ফিসফিস করে বলল - এই মাথা মোটা, হতচ্ছাড়ি মাইয়া মানুষ রেএএ, তুই যদি এখানে ঐ ঘটনার কথা বলোস, তোর আর আমার দুজনের ই মানসম্মান মাটির সাথে মিশে যাবে।এই কারনেই বলি, তোগো মাইয়া মানুষ এর ব্রেন হাঁটুর নিচে থাকে।
উম্ উম্ করেই যাচ্ছি।রৌদ্দুর ভাইয়া বুঝতে পেরে ছেড়ে দিল। ইশ্ আরেকটু হলেই দমটা চলে ই যেত আজরাইলের কাছে। মাগো।
লিজা - হুর ,তার পর কী হলো বললে না তো?(writer -NE El)
ও মাগো, ভূতের মুখে রাম নাম।যাক গে, এখন আর বলব না ‌। আমার তো মাথা থেকে বের ই হয়ে গেছিল, এখানে আমার থেকে সবাই বড়, সত্যি ই তো মান সম্মান ধূলিসাৎ হয়ে যেত।
আমি বললাম - আচ্ছা আচ্ছা,বাদ দেও তো ঐ সব ঘটনা। চলো ,আজ তো কবর জিয়ারত করার কথা ছিল।
সবাই আমার কথায় একমত পোষণ করে।
বাবা মা,দাদার কবর জিয়ারত করলাম। গ্রামে থাকলে আমার রোজ একবার করে আসা হয়। মন খারাপ দূর হয়ে যায়।কত কথা আমি মা বাবা আর দাদার সাথে বলি। আজ এখানে সবাই আছে কিন্তু আমি আমার মনের কথা ব্যক্ত করতে পারলাম না। চোখ থেকে অশ্রু গড়িয়ে পড়লো। হাতের উল্টো পিঠে মুছে নিলাম। কেউ যেন‌ না দেখতে পারে। আসলে আমি চাই না, আমার এই দুঃখ টা কেউ দেখুক। আশেপাশে চোখ ঘুরিয়ে দেখলাম কেউ দেখেছে কি না। ঠিক তাই,আজ ও রৌদ্দুর ভাইয়ের চোখে ধরা পড়ে গেলাম। একটা মলিন হাসি দিয়ে মাথা নিচু করে ফেললাম।
অনেক ক্ষন ছিলাম সেখানে। এবার বাড়ি যাওয়ার পালা।সবাই গ্রাম দেখছি আর হাঁটছি। লিজা ভাবী প্রচুর বিরক্ত। বিরক্ত তো হওয়ার ই কথা, আসলে সকালের বৃষ্টি পুরো রাস্তা ঘাটের অবস্থা বারো টা বাজাইয়া গেছে।
আমি ও দেখে দেখে হাঁটছি। আমার আবার স্বভাব খারাপ আছে। বৃষ্টি এলেই পিছলা খাইয়া ধাপস ধুপুস করে আছাড় খাওয়া। আমি দাঁড়িয়ে গেলাম। রৌদ্দুর ভাইয়া ও দাঁড়িয়ে গেল। বলল-কী হয়েছে?
আমি বললাম - আমার মনে হচ্ছে কেউ আমাদের ফলো করছে।কাল ও এমন মনে হচ্ছিল।
রৌদ্দুর ভাইয়া আশেপাশে ভালো করে তাকালো, তারপর বলল - তোর মনের ভুল , মাথা মোটা মাইয়া কোথাকার।দেখ তো তোর চক্করে তাদের থেকে পিছিয়ে পড়েছি। এবার হাঁট তো।না হয় সন্ধ্যার আগে বাড়ি ফিরতে পারবো না।
রৌদ্দুর ভাইয়ের কথায় আমার গা পিত্তি জ্বলে যাচ্ছে। একটু ভালো ভাবে ও তো বলতে পারতো ।পারতো না?(এই পাঠক গন আপনারা বলুনতো?)
মন খারাপ করে দুই পা এগোতে ই পিছলা খাইয়া পড়তে যেতেই কেউ একজন ধরে ফেলল।মিট মিট করে তাকিয়ে দেখি রৌদ্দুর ভাইয়া।
আমাকে সোজা দাঁড় করিয়ে বলল-আরো কর রাগ। ইশ্ কি রাগ রে। এখন যদি পড়তি তাহলে কোমর টা নির্ঘাত ভাঙতি। হতচ্ছাড়া মাইয়া কোথাকার।
মুখ টা ফুলিয়ে হাঁটছি।এই খাটাশ বেলগাছের আঠা কোনো দিন ভালো হবে না।
বাসার সামনে এসে গেছি। লিজা ভাবী বাসা দেখেই দ্রুত হাঁটতে শুরু করলো।এর মধ্যেই কান্ড ঘটে গেছে। ধপাস ঠাস।এমন শব্দে সবাই কিছুটা ঘাবড়ে ও গেল। তাকিয়ে দেখি লিজা ভাবী চিৎ পাটাং হয়ে মাটিতে পড়ে আছে। এই কান্ড তো আমার সাথে হওয়ার কথা, হয়েও ছিল।ভাগ্যিস রৌদ্দুর ভাইয়া ছিল। বেঁচে গেছি। মনে মনে রৌদ্দুর ভাইয়া কে ধন্যবাদ জানালাম। হাঁসি পাচ্ছে। খুব ই। তবে সামলিয়ে রাখছি নিজেকে।
বেশিক্ষণ রাখতে পারলাম না, যখন দেখলাম রমেলা খালা হন্তদন্ত হয়ে ঘর থেকে ছুটে এলেন।এসেই বললেন - তুই আবার ও পড়েছিস হুর। more.......
এই কথা শুনে আমি উচ্চ স্বরে হাসতে শুরু করলাম। হাসতে হাসতে বললাম - তুমি কি চোখে দেখো না মাইরি, ওপস মাতারি। আমি না, আজ লিজা ভাবী পড়ছে।
এই কথা শুনে সবাই হেসে দিল। রোহান ভাইয়া সহ । কিন্তু লিজা ভাবী কপাট রাগী চোখে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। রোহান ভাইয়া হাসতে হাসতে লিজা ভাবীর কাছে গেল।
এর মধ্যেই রমেলা খালা বলল - এই কি, নতুন বউ। হায় হায়। সরকার ( চাচাকে উদ্দেশ্য করে) এই কেমন বউ আনছো? যার ঠ্যাং এ শক্তি নাই। এমন ধাপুস ধুপুস করে পড়লে,কয়দিন পর মানজা (কোমর) ও থাকবো না। এই ছেমরি ( লিজা ভাবী কে উদ্দেশ্য করে) চোখ আর শক্তি কি হাতে নিয়ে হাঁটোস নাকি।
মুখ ফসকে বলেই ফেললাম- ও লিজা ভাবী, তোমার শক্তি,স্টেমেনা স্লো নাকি গো?
আবার সবাই হেসে উঠল। লিজা ভাবী দ্রুত বসা থেকে উঠে ঘরের দিকে চলে‌ গেল।আমরা ও চলে গেলাম।
সন্ধ্যা হয়ে গেছে অনেক আগেই। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়ছে। গ্রাম অঞ্চল বলে কথা, এভাবে ও বিদ্যুৎ থাকে না।আজ সন্ধ্যায় ও বৃষ্টি নেই। হাল্কা হাল্কা ঠান্ডা লাগছে। আমি কাঁথা মুড়ি দিয়ে বসে বসে মোবাইল টিপছি। হঠাৎ মনে হলো পায়ে কিছু আছে, মানে পোকা মাকড় আরকি। বৃষ্টির দিনে এরকম হয় আর কি।তাই লাইট টা অন করে পা দেখতেই দরজার সামনে থেকে এলো একটা চিৎকার।কে চিৎকার দিয়েছে,কেন দিয়েছে,তা জেনে লাভ নেই। চিৎকার শুনে আমি ও দিলাম চিৎকার। চিৎকার এর উপর চিৎকার।
চিৎকার শুনে ঘরের সবাই একজোট হয়ে গেছে। লাইট নিয়ে হাজির। আমাদের চিৎকার শুনে মনে হয় বিদ্যুৎ বাবাজি ও ভয় পেয়েছে, এর মধ্যেই বিদ্যুৎ হাজির।
কাঁথা থেকে মুখ বের করে দেখি লিজা ভাবী দরজার সামনে হেলান দিয়ে বসে আছে। আর বাকিরা সবাই আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। তাড়াতাড়ি কাথা সরিয়ে নিলাম। বেড এ সোজা হয়ে বসে বললাম - তোমরা সবাই জম্বিদের মতো দাঁড়িয়ে আছো কেন? আর লিজা ভাবী আমার রুমে এসে ভিখারির মতো বসে আছো কেন?
লিজা ভাবী মিট মিট চোখে তাকালো, নিজের বুকে থুতু দিয়ে আমার দিকে কপাট রাগী চোখে তাকিয়ে বলল - এই মেয়ে তুমি আমাকে ভয় পাইয়ে দিয়েছো কেন? তুমি চিৎকার দিলে কেন?
আমি নিরামিষ মার্কা মুখ করে বললাম - আগে কে চিৎকার দিয়েছে তা বলো?
সবার আড়াল থেকে রমেলা খালা মাথা বের করে বলল - আমি আমি দিছি।
চাচি - তা আম্নে কেন চিৎকার দিছেন?
রমেলা খালা -ঐ হইছে কি , সব কাজ শেষ করে বইয়া (বসে) থাকতে ভাল লাগছিল না, আর আমি আবার ভুত টুট ভয় পাই, হুর ও শহর থাইকা আইছে, কালকা কি হইছে, এমন অনেক কথা হুর জানে,তাই ভাবছিলাম কি একটু গপ্প করে আই। যখন ই আইলাম দেখি খাঠের উপর কি জানি বইয়া আছে কালা। প্রথ্থমে ভয় পাইছি, তারপর বুকে থুতু দিয়ে ভিত্তরে আইতে ই দেহি (দেখি) হুট কইরা আলো জইলা উঠলো। আমি ভুত মনে কইরা চিক্কার দিসি।
রমেলা খালার কথা শুনে আমি হাসি ধরে রাখতে পারলাম না। খাটের উপর সবার সামনে গড়িয়ে গড়িয়ে হাসতে শুরু করলাম।
কিছু টা হাসি থামিয়ে লিজা ভাবী কে বললাম - তা ভাবি আপনি কেন এই খানে এমনে বসে আছেন?
লিজা ভাবী তাড়াতাড়ি উঠে যাচ্ছিল। কোমর ধরে একটু কুঁকড়ে উঠলো বলল- মাগো আমার কোমর , কী ব্যাথা।
সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে আবার বলল....
চলবে more.......

3
বাসার সামনে এসে গেছি। লিজা ভাবী বাসা দেখেই দ্রুত হাঁটতে শুরু করলো।এর মধ্যেই কান্ড ঘটে গেছে। ধপাস ঠাস।এমন শব্দে সবাই কিছুটা ঘাবড়ে ও গেল। তাকিয়ে দেখি লিজা ভাবী চিৎ পাটাং হয়ে মাটিতে পড়ে আছে। এই কান্ড তো আমার সাথে হওয়ার কথা, হয়েও ছিল।ভাগ্যিস রৌদ্দুর ভাইয়া ছিল। বেঁচে গেছি। মনে মনে রৌদ্দুর ভাইয়া কে ধন্যবাদ জানালাম। হাঁসি পাচ্ছে। খুব ই। তবে সামলিয়ে রাখছি নিজেকে।
বেশিক্ষণ রাখতে পারলাম না, যখন দেখলাম রমেলা খালা হন্তদন্ত হয়ে ঘর থেকে ছুটে এলেন।এসেই বললেন - তুই আবার ও পড়েছিস হুর। more.......
এই কথা শুনে আমি উচ্চ স্বরে হাসতে শুরু করলাম। হাসতে হাসতে বললাম - তুমি কি চোখে দেখো না মাইরি, ওপস মাতারি। আমি না, আজ লিজা ভাবী পড়ছে।
এই কথা শুনে সবাই হেসে দিল। রোহান ভাইয়া সহ । কিন্তু লিজা ভাবী কপাট রাগী চোখে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। রোহান ভাইয়া হাসতে হাসতে লিজা ভাবীর কাছে গেল।
এর মধ্যেই রমেলা খালা বলল - এই কি, নতুন বউ। হায় হায়। সরকার ( চাচাকে উদ্দেশ্য করে) এই কেমন বউ আনছো? যার ঠ্যাং এ শক্তি নাই। এমন ধাপুস ধুপুস করে পড়লে,কয়দিন পর মানজা (কোমর) ও থাকবো না। এই ছেমরি ( লিজা ভাবী কে উদ্দেশ্য করে) চোখ আর শক্তি কি হাতে নিয়ে হাঁটোস নাকি।
মুখ ফসকে বলেই ফেললাম- ও লিজা ভাবী, তোমার শক্তি,স্টেমেনা স্লো নাকি গো?
আবার সবাই হেসে উঠল। লিজা ভাবী দ্রুত বসা থেকে উঠে ঘরের দিকে চলে‌ গেল।আমরা ও চলে গেলাম।
সন্ধ্যা হয়ে গেছে অনেক আগেই। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়ছে। গ্রাম অঞ্চল বলে কথা, এভাবে ও বিদ্যুৎ থাকে না।আজ সন্ধ্যায় ও বৃষ্টি নেই। হাল্কা হাল্কা ঠান্ডা লাগছে। আমি কাঁথা মুড়ি দিয়ে বসে বসে মোবাইল টিপছি। হঠাৎ মনে হলো পায়ে কিছু আছে, মানে পোকা মাকড় আরকি। বৃষ্টির দিনে এরকম হয় আর কি।তাই লাইট টা অন করে পা দেখতেই দরজার সামনে থেকে এলো একটা চিৎকার।কে চিৎকার দিয়েছে,কেন দিয়েছে,তা জেনে লাভ নেই। চিৎকার শুনে আমি ও দিলাম চিৎকার। চিৎকার এর উপর চিৎকার।
চিৎকার শুনে ঘরের সবাই একজোট হয়ে গেছে। লাইট নিয়ে হাজির। আমাদের চিৎকার শুনে মনে হয় বিদ্যুৎ বাবাজি ও ভয় পেয়েছে, এর মধ্যেই বিদ্যুৎ হাজির।
কাঁথা থেকে মুখ বের করে দেখি লিজা ভাবী দরজার সামনে হেলান দিয়ে বসে আছে। আর বাকিরা সবাই আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। তাড়াতাড়ি কাথা সরিয়ে নিলাম। বেড এ সোজা হয়ে বসে বললাম - তোমরা সবাই জম্বিদের মতো দাঁড়িয়ে আছো কেন? আর লিজা ভাবী আমার রুমে এসে ভিখারির মতো বসে আছো কেন?
লিজা ভাবী মিট মিট চোখে তাকালো, নিজের বুকে থুতু দিয়ে আমার দিকে কপাট রাগী চোখে তাকিয়ে বলল - এই মেয়ে তুমি আমাকে ভয় পাইয়ে দিয়েছো কেন? তুমি চিৎকার দিলে কেন?
আমি নিরামিষ মার্কা মুখ করে বললাম - আগে কে চিৎকার দিয়েছে তা বলো?
সবার আড়াল থেকে রমেলা খালা মাথা বের করে বলল - আমি আমি দিছি।
চাচি - তা আম্নে কেন চিৎকার দিছেন?
রমেলা খালা -ঐ হইছে কি , সব কাজ শেষ করে বইয়া (বসে) থাকতে ভাল লাগছিল না, আর আমি আবার ভুত টুট ভয় পাই, হুর ও শহর থাইকা আইছে, কালকা কি হইছে, এমন অনেক কথা হুর জানে,তাই ভাবছিলাম কি একটু গপ্প করে আই। যখন ই আইলাম দেখি খাঠের উপর কি জানি বইয়া আছে কালা। প্রথ্থমে ভয় পাইছি, তারপর বুকে থুতু দিয়ে ভিত্তরে আইতে ই দেহি (দেখি) হুট কইরা আলো জইলা উঠলো। আমি ভুত মনে কইরা চিক্কার দিসি।
রমেলা খালার কথা শুনে আমি হাসি ধরে রাখতে পারলাম না। খাটের উপর সবার সামনে গড়িয়ে গড়িয়ে হাসতে শুরু করলাম।
কিছু টা হাসি থামিয়ে লিজা ভাবী কে বললাম - তা ভাবি আপনি কেন এই খানে এমনে বসে আছেন?
লিজা ভাবী তাড়াতাড়ি উঠে যাচ্ছিল। কোমর ধরে একটু কুঁকড়ে উঠলো বলল- মাগো আমার কোমর , কী ব্যাথা।
সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে আবার বলল....
চলবে more.......

3
বাসার সামনে এসে গেছি। লিজা ভাবী বাসা দেখেই দ্রুত হাঁটতে শুরু করলো।এর মধ্যেই কান্ড ঘটে গেছে। ধপাস ঠাস।এমন শব্দে সবাই কিছুটা ঘাবড়ে ও গেল। তাকিয়ে দেখি লিজা ভাবী চিৎ পাটাং হয়ে মাটিতে পড়ে আছে। এই কান্ড তো আমার সাথে হওয়ার কথা, হয়েও ছিল।ভাগ্যিস রৌদ্দুর ভাইয়া ছিল। বেঁচে গেছি। মনে মনে রৌদ্দুর ভাইয়া কে ধন্যবাদ জানালাম। হাঁসি পাচ্ছে। খুব ই। তবে সামলিয়ে রাখছি নিজেকে।
বেশিক্ষণ রাখতে পারলাম না, যখন দেখলাম রমেলা খালা হন্তদন্ত হয়ে ঘর থেকে ছুটে এলেন।এসেই বললেন - তুই আবার ও পড়েছিস হুর। more.......
এই কথা শুনে আমি উচ্চ স্বরে হাসতে শুরু করলাম। হাসতে হাসতে বললাম - তুমি কি চোখে দেখো না মাইরি, ওপস মাতারি। আমি না, আজ লিজা ভাবী পড়ছে।
এই কথা শুনে সবাই হেসে দিল। রোহান ভাইয়া সহ । কিন্তু লিজা ভাবী কপাট রাগী চোখে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। রোহান ভাইয়া হাসতে হাসতে লিজা ভাবীর কাছে গেল।
এর মধ্যেই রমেলা খালা বলল - এই কি, নতুন বউ। হায় হায়। সরকার ( চাচাকে উদ্দেশ্য করে) এই কেমন বউ আনছো? যার ঠ্যাং এ শক্তি নাই। এমন ধাপুস ধুপুস করে পড়লে,কয়দিন পর মানজা (কোমর) ও থাকবো না। এই ছেমরি ( লিজা ভাবী কে উদ্দেশ্য করে) চোখ আর শক্তি কি হাতে নিয়ে হাঁটোস নাকি।
মুখ ফসকে বলেই ফেললাম- ও লিজা ভাবী, তোমার শক্তি,স্টেমেনা স্লো নাকি গো?
আবার সবাই হেসে উঠল। লিজা ভাবী দ্রুত বসা থেকে উঠে ঘরের দিকে চলে‌ গেল।আমরা ও চলে গেলাম।
সন্ধ্যা হয়ে গেছে অনেক আগেই। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়ছে। গ্রাম অঞ্চল বলে কথা, এভাবে ও বিদ্যুৎ থাকে না।আজ সন্ধ্যায় ও বৃষ্টি নেই। হাল্কা হাল্কা ঠান্ডা লাগছে। আমি কাঁথা মুড়ি দিয়ে বসে বসে মোবাইল টিপছি। হঠাৎ মনে হলো পায়ে কিছু আছে, মানে পোকা মাকড় আরকি। বৃষ্টির দিনে এরকম হয় আর কি।তাই লাইট টা অন করে পা দেখতেই দরজার সামনে থেকে এলো একটা চিৎকার।কে চিৎকার দিয়েছে,কেন দিয়েছে,তা জেনে লাভ নেই। চিৎকার শুনে আমি ও দিলাম চিৎকার। চিৎকার এর উপর চিৎকার।
চিৎকার শুনে ঘরের সবাই একজোট হয়ে গেছে। লাইট নিয়ে হাজির। আমাদের চিৎকার শুনে মনে হয় বিদ্যুৎ বাবাজি ও ভয় পেয়েছে, এর মধ্যেই বিদ্যুৎ হাজির।
কাঁথা থেকে মুখ বের করে দেখি লিজা ভাবী দরজার সামনে হেলান দিয়ে বসে আছে। আর বাকিরা সবাই আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। তাড়াতাড়ি কাথা সরিয়ে নিলাম। বেড এ সোজা হয়ে বসে বললাম - তোমরা সবাই জম্বিদের মতো দাঁড়িয়ে আছো কেন? আর লিজা ভাবী আমার রুমে এসে ভিখারির মতো বসে আছো কেন?
লিজা ভাবী মিট মিট চোখে তাকালো, নিজের বুকে থুতু দিয়ে আমার দিকে কপাট রাগী চোখে তাকিয়ে বলল - এই মেয়ে তুমি আমাকে ভয় পাইয়ে দিয়েছো কেন? তুমি চিৎকার দিলে কেন?
আমি নিরামিষ মার্কা মুখ করে বললাম - আগে কে চিৎকার দিয়েছে তা বলো?
সবার আড়াল থেকে রমেলা খালা মাথা বের করে বলল - আমি আমি দিছি।
চাচি - তা আম্নে কেন চিৎকার দিছেন?
রমেলা খালা -ঐ হইছে কি , সব কাজ শেষ করে বইয়া (বসে) থাকতে ভাল লাগছিল না, আর আমি আবার ভুত টুট ভয় পাই, হুর ও শহর থাইকা আইছে, কালকা কি হইছে, এমন অনেক কথা হুর জানে,তাই ভাবছিলাম কি একটু গপ্প করে আই। যখন ই আইলাম দেখি খাঠের উপর কি জানি বইয়া আছে কালা। প্রথ্থমে ভয় পাইছি, তারপর বুকে থুতু দিয়ে ভিত্তরে আইতে ই দেহি (দেখি) হুট কইরা আলো জইলা উঠলো। আমি ভুত মনে কইরা চিক্কার দিসি।
রমেলা খালার কথা শুনে আমি হাসি ধরে রাখতে পারলাম না। খাটের উপর সবার সামনে গড়িয়ে গড়িয়ে হাসতে শুরু করলাম।
কিছু টা হাসি থামিয়ে লিজা ভাবী কে বললাম - তা ভাবি আপনি কেন এই খানে এমনে বসে আছেন?
লিজা ভাবী তাড়াতাড়ি উঠে যাচ্ছিল। কোমর ধরে একটু কুঁকড়ে উঠলো বলল- মাগো আমার কোমর , কী ব্যাথা।
সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে আবার বলল....
চলবে more.......

3
বাসার সামনে এসে গেছি। লিজা ভাবী বাসা দেখেই দ্রুত হাঁটতে শুরু করলো।এর মধ্যেই কান্ড ঘটে গেছে। ধপাস ঠাস।এমন শব্দে সবাই কিছুটা ঘাবড়ে ও গেল। তাকিয়ে দেখি লিজা ভাবী চিৎ পাটাং হয়ে মাটিতে পড়ে আছে। এই কান্ড তো আমার সাথে হওয়ার কথা, হয়েও ছিল।ভাগ্যিস রৌদ্দুর ভাইয়া ছিল। বেঁচে গেছি। মনে মনে রৌদ্দুর ভাইয়া কে ধন্যবাদ জানালাম। হাঁসি পাচ্ছে। খুব ই। তবে সামলিয়ে রাখছি নিজেকে।
বেশিক্ষণ রাখতে পারলাম না, যখন দেখলাম রমেলা খালা হন্তদন্ত হয়ে ঘর থেকে ছুটে এলেন।এসেই বললেন - তুই আবার ও পড়েছিস হুর। more.......
এই কথা শুনে আমি উচ্চ স্বরে হাসতে শুরু করলাম। হাসতে হাসতে বললাম - তুমি কি চোখে দেখো না মাইরি, ওপস মাতারি। আমি না, আজ লিজা ভাবী পড়ছে।
এই কথা শুনে সবাই হেসে দিল। রোহান ভাইয়া সহ । কিন্তু লিজা ভাবী কপাট রাগী চোখে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। রোহান ভাইয়া হাসতে হাসতে লিজা ভাবীর কাছে গেল।
এর মধ্যেই রমেলা খালা বলল - এই কি, নতুন বউ। হায় হায়। সরকার ( চাচাকে উদ্দেশ্য করে) এই কেমন বউ আনছো? যার ঠ্যাং এ শক্তি নাই। এমন ধাপুস ধুপুস করে পড়লে,কয়দিন পর মানজা (কোমর) ও থাকবো না। এই ছেমরি ( লিজা ভাবী কে উদ্দেশ্য করে) চোখ আর শক্তি কি হাতে নিয়ে হাঁটোস নাকি।
মুখ ফসকে বলেই ফেললাম- ও লিজা ভাবী, তোমার শক্তি,স্টেমেনা স্লো নাকি গো?
আবার সবাই হেসে উঠল। লিজা ভাবী দ্রুত বসা থেকে উঠে ঘরের দিকে চলে‌ গেল।আমরা ও চলে গেলাম।
সন্ধ্যা হয়ে গেছে অনেক আগেই। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়ছে। গ্রাম অঞ্চল বলে কথা, এভাবে ও বিদ্যুৎ থাকে না।আজ সন্ধ্যায় ও বৃষ্টি নেই। হাল্কা হাল্কা ঠান্ডা লাগছে। আমি কাঁথা মুড়ি দিয়ে বসে বসে মোবাইল টিপছি। হঠাৎ মনে হলো পায়ে কিছু আছে, মানে পোকা মাকড় আরকি। বৃষ্টির দিনে এরকম হয় আর কি।তাই লাইট টা অন করে পা দেখতেই দরজার সামনে থেকে এলো একটা চিৎকার।কে চিৎকার দিয়েছে,কেন দিয়েছে,তা জেনে লাভ নেই। চিৎকার শুনে আমি ও দিলাম চিৎকার। চিৎকার এর উপর চিৎকার।
চিৎকার শুনে ঘরের সবাই একজোট হয়ে গেছে। লাইট নিয়ে হাজির। আমাদের চিৎকার শুনে মনে হয় বিদ্যুৎ বাবাজি ও ভয় পেয়েছে, এর মধ্যেই বিদ্যুৎ হাজির।
কাঁথা থেকে মুখ বের করে দেখি লিজা ভাবী দরজার সামনে হেলান দিয়ে বসে আছে। আর বাকিরা সবাই আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। তাড়াতাড়ি কাথা সরিয়ে নিলাম। বেড এ সোজা হয়ে বসে বললাম - তোমরা সবাই জম্বিদের মতো দাঁড়িয়ে আছো কেন? আর লিজা ভাবী আমার রুমে এসে ভিখারির মতো বসে আছো কেন?
লিজা ভাবী মিট মিট চোখে তাকালো, নিজের বুকে থুতু দিয়ে আমার দিকে কপাট রাগী চোখে তাকিয়ে বলল - এই মেয়ে তুমি আমাকে ভয় পাইয়ে দিয়েছো কেন? তুমি চিৎকার দিলে কেন?
আমি নিরামিষ মার্কা মুখ করে বললাম - আগে কে চিৎকার দিয়েছে তা বলো?
সবার আড়াল থেকে রমেলা খালা মাথা বের করে বলল - আমি আমি দিছি।
চাচি - তা আম্নে কেন চিৎকার দিছেন?
রমেলা খালা -ঐ হইছে কি , সব কাজ শেষ করে বইয়া (বসে) থাকতে ভাল লাগছিল না, আর আমি আবার ভুত টুট ভয় পাই, হুর ও শহর থাইকা আইছে, কালকা কি হইছে, এমন অনেক কথা হুর জানে,তাই ভাবছিলাম কি একটু গপ্প করে আই। যখন ই আইলাম দেখি খাঠের উপর কি জানি বইয়া আছে কালা। প্রথ্থমে ভয় পাইছি, তারপর বুকে থুতু দিয়ে ভিত্তরে আইতে ই দেহি (দেখি) হুট কইরা আলো জইলা উঠলো। আমি ভুত মনে কইরা চিক্কার দিসি।
রমেলা খালার কথা শুনে আমি হাসি ধরে রাখতে পারলাম না। খাটের উপর সবার সামনে গড়িয়ে গড়িয়ে হাসতে শুরু করলাম।
কিছু টা হাসি থামিয়ে লিজা ভাবী কে বললাম - তা ভাবি আপনি কেন এই খানে এমনে বসে আছেন?
লিজা ভাবী তাড়াতাড়ি উঠে যাচ্ছিল। কোমর ধরে একটু কুঁকড়ে উঠলো বলল- মাগো আমার কোমর , কী ব্যাথা।
সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে আবার বলল....
চলবে more.......

3
বাসার সামনে এসে গেছি। লিজা ভাবী বাসা দেখেই দ্রুত হাঁটতে শুরু করলো।এর মধ্যেই কান্ড ঘটে গেছে। ধপাস ঠাস।এমন শব্দে সবাই কিছুটা ঘাবড়ে ও গেল। তাকিয়ে দেখি লিজা ভাবী চিৎ পাটাং হয়ে মাটিতে পড়ে আছে। এই কান্ড তো আমার সাথে হওয়ার কথা, হয়েও ছিল।ভাগ্যিস রৌদ্দুর ভাইয়া ছিল। বেঁচে গেছি। মনে মনে রৌদ্দুর ভাইয়া কে ধন্যবাদ জানালাম। হাঁসি পাচ্ছে। খুব ই। তবে সামলিয়ে রাখছি নিজেকে।
বেশিক্ষণ রাখতে পারলাম না, যখন দেখলাম রমেলা খালা হন্তদন্ত হয়ে ঘর থেকে ছুটে এলেন।এসেই বললেন - তুই আবার ও পড়েছিস হুর। more.......
এই কথা শুনে আমি উচ্চ স্বরে হাসতে শুরু করলাম। হাসতে হাসতে বললাম - তুমি কি চোখে দেখো না মাইরি, ওপস মাতারি। আমি না, আজ লিজা ভাবী পড়ছে।
এই কথা শুনে সবাই হেসে দিল। রোহান ভাইয়া সহ । কিন্তু লিজা ভাবী কপাট রাগী চোখে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। রোহান ভাইয়া হাসতে হাসতে লিজা ভাবীর কাছে গেল।
এর মধ্যেই রমেলা খালা বলল - এই কি, নতুন বউ। হায় হায়। সরকার ( চাচাকে উদ্দেশ্য করে) এই কেমন বউ আনছো? যার ঠ্যাং এ শক্তি নাই। এমন ধাপুস ধুপুস করে পড়লে,কয়দিন পর মানজা (কোমর) ও থাকবো না। এই ছেমরি ( লিজা ভাবী কে উদ্দেশ্য করে) চোখ আর শক্তি কি হাতে নিয়ে হাঁটোস নাকি।
মুখ ফসকে বলেই ফেললাম- ও লিজা ভাবী, তোমার শক্তি,স্টেমেনা স্লো নাকি গো?
আবার সবাই হেসে উঠল। লিজা ভাবী দ্রুত বসা থেকে উঠে ঘরের দিকে চলে‌ গেল।আমরা ও চলে গেলাম।
সন্ধ্যা হয়ে গেছে অনেক আগেই। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়ছে। গ্রাম অঞ্চল বলে কথা, এভাবে ও বিদ্যুৎ থাকে না।আজ সন্ধ্যায় ও বৃষ্টি নেই। হাল্কা হাল্কা ঠান্ডা লাগছে। আমি কাঁথা মুড়ি দিয়ে বসে বসে মোবাইল টিপছি। হঠাৎ মনে হলো পায়ে কিছু আছে, মানে পোকা মাকড় আরকি। বৃষ্টির দিনে এরকম হয় আর কি।তাই লাইট টা অন করে পা দেখতেই দরজার সামনে থেকে এলো একটা চিৎকার।কে চিৎকার দিয়েছে,কেন দিয়েছে,তা জেনে লাভ নেই। চিৎকার শুনে আমি ও দিলাম চিৎকার। চিৎকার এর উপর চিৎকার।
চিৎকার শুনে ঘরের সবাই একজোট হয়ে গেছে। লাইট নিয়ে হাজির। আমাদের চিৎকার শুনে মনে হয় বিদ্যুৎ বাবাজি ও ভয় পেয়েছে, এর মধ্যেই বিদ্যুৎ হাজির।
কাঁথা থেকে মুখ বের করে দেখি লিজা ভাবী দরজার সামনে হেলান দিয়ে বসে আছে। আর বাকিরা সবাই আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। তাড়াতাড়ি কাথা সরিয়ে নিলাম। বেড এ সোজা হয়ে বসে বললাম - তোমরা সবাই জম্বিদের মতো দাঁড়িয়ে আছো কেন? আর লিজা ভাবী আমার রুমে এসে ভিখারির মতো বসে আছো কেন?
লিজা ভাবী মিট মিট চোখে তাকালো, নিজের বুকে থুতু দিয়ে আমার দিকে কপাট রাগী চোখে তাকিয়ে বলল - এই মেয়ে তুমি আমাকে ভয় পাইয়ে দিয়েছো কেন? তুমি চিৎকার দিলে কেন?
আমি নিরামিষ মার্কা মুখ করে বললাম - আগে কে চিৎকার দিয়েছে তা বলো?
সবার আড়াল থেকে রমেলা খালা মাথা বের করে বলল - আমি আমি দিছি।
চাচি - তা আম্নে কেন চিৎকার দিছেন?
রমেলা খালা -ঐ হইছে কি , সব কাজ শেষ করে বইয়া (বসে) থাকতে ভাল লাগছিল না, আর আমি আবার ভুত টুট ভয় পাই, হুর ও শহর থাইকা আইছে, কালকা কি হইছে, এমন অনেক কথা হুর জানে,তাই ভাবছিলাম কি একটু গপ্প করে আই। যখন ই আইলাম দেখি খাঠের উপর কি জানি বইয়া আছে কালা। প্রথ্থমে ভয় পাইছি, তারপর বুকে থুতু দিয়ে ভিত্তরে আইতে ই দেহি (দেখি) হুট কইরা আলো জইলা উঠলো। আমি ভুত মনে কইরা চিক্কার দিসি।
রমেলা খালার কথা শুনে আমি হাসি ধরে রাখতে পারলাম না। খাটের উপর সবার সামনে গড়িয়ে গড়িয়ে হাসতে শুরু করলাম।
কিছু টা হাসি থামিয়ে লিজা ভাবী কে বললাম - তা ভাবি আপনি কেন এই খানে এমনে বসে আছেন?
লিজা ভাবী তাড়াতাড়ি উঠে যাচ্ছিল। কোমর ধরে একটু কুঁকড়ে উঠলো বলল- মাগো আমার কোমর , কী ব্যাথা।
সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে আবার বলল....
চলবে more.......

3

No comments:

720

Powered by Blogger.