Header Ads Widget

test

জোৎস্না_বিলাসী



 জোৎস্না_বিলাসী

নাহিদা_আক্তার
পর্ব :০৬
_"কতদিন ধরে ফেসবুক চালাচ্ছিস?"
🍀কিছুক্ষণ আগে......
সময় তখন ১:৪৫ আরিশ সবে মাত্র পার্টি অফিস থেকে বাসায় ফিরেছে। বিগত কয়েক দিন ধরে কাজের ব্যস্ততা অনেক। তার উপর আবার অপজিট পার্টির লোকেদের নতুন নতুন ঝামেলা তো রয়েছে। সামনে আবার ইলেকশন। সেই সব কিছু সামাল দিতে দিতেই আরিশ ক্লান্ত হয়ে পরেছে। এখন একটু বিশ্রামের প্রয়োজন নাহলে যেকোনো সময় অসুস্থ হয়ে পরতে পারে। তাই আজ তারাতাড়ি বাড়ি ফিরেছে।
বাসায় ফিরেই কোনো মতে ফ্রেশ হয়ে বিছানায় গা এলিয়ে দিলো। কি মনে করে যেন বিছানার পাশে বেডসাইড টেবিলের উপর রাখা তার ফোনটা হাতে নিলো। ফোন ওপেন করতেই চোখে পড়লো কতগুলো নোটিফিকেশন যার মধ্যে বেশির ভাগই ছিলো ফেসবুক থেকে আসা। এদের মধ্যে একটা ছিলো 'today is Mithila's birthday , you can wish her' আরিশ তা দেখলো কিন্তু তেমন একটা পাত্তা দিলো না। এই মেয়েটা রিদির বান্ধবী। তাই নিজ থেকেই এই মেয়েকে এড করেছে সে।
আজ অনেক দিন পর ফেসবুকে ঢুকলো আরিশ। আগে সবসময় এই ফোন ফেসবুক নিয়ে থাকলেও এখন ব্যস্ততার কারণে আর সময় করে উঠতে পারে না ফোন ধরার।
আপন মনে নিউজ ফিড স্ক্রোল করছে আরিশ। স্ক্রোল করতে করতে হঠাৎ একটা পোষ্টে চোখ আটকে যায়। পোস্টটা দেখে ভ্রু কুঁচকে এলো খানিক। নিজের মনের ভুল ভেবেই স্কিপ করতে চাইলো কিন্তু করলো না। শ ভালো করে খেয়াল করতেই দেখলো এটা মিথিলার টাইম লাইনে রয়েছে। তড়িৎ গতিতে উঠে বসলো ফোনের স্ক্রিনে আরো গাঢ় ভাবে মনোযোগ দিলো। হ্যাঁ, এটাই তো রিদি তার মনের ভুল নয় তাহলে!
আরিশ ১০০% সিউর যে এটাই রিদি। আরিশ তার রিদিকে চিনতে পারবে না তা কখনোই হতে পারে না।
ফোনের স্ক্রিনটা জুম করলো সেখানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে তারই কিনে দেওয়া কালো রঙের একটা বোরকা পরিহিত রিদিকে। নেকাব না পড়ার কারনে ফর্সা উজ্জ্বল মুখটা দৃশ্যমান রয়েছে।
রিদি ও মিথিলা সহ সেখানে আরো দু'জন মেয়ে রয়েছে তাদের সাথে ছবিতে দু'টো ছেলেকেও দেখা যাচ্ছে তাদের সাথে। সেখানে ছেলে আছে! কথাটা মস্তিষ্কে আসতেই মাথাটায় ধক করে আগুন জ্বলে উঠলো। শরীর অস্বাভাবিক ভাবে কাঁপতে লাগলো। রিদির ছবিটা বারবার জুম করে দেখছে মিথিলার গা ঘেঁষে বসে কি সুন্দর করে হাসছে রিদি। দুই ছেলের মধ্যে একজন সেলফি তুলছে আর একজন রিদির অপর সাইডে বসে আছে। আরিশ এবার জহুরির চোখে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে চারপাশ দেখতে লাগলো। এটা একটা রেস্টুরেন্ট। রিদিদের কলেজের কাছাকাছি একটা রেস্টুরেন্ট। আরিশ কয়েকবার গিয়েছিলো ওখানে যার ফলে তা দেখার সাথে সাথেই চিনে ফেলল।
আরিশ যত দূর বুঝলো মিলিথার জন্মদিন উপলক্ষে রিদি ওখানে গিয়েছে। তার অনুমতি ছাড়া গেছে তার উপর সাথে আবার ছেলেও আছে। যে মেয়েকে কিনা সে বাহিরে যাওয়ার অনুমতি দেয় না সে কিনা আজ ছেলেদের সাথে রেস্টুরেন্টে গিয়ে বান্ধবীর জন্মদিন পালন করছে? এসব ভাবতেই হঠাৎ আরিশের চোখ গিয়ে পরে রিদির সাইডের টেবিলে বসে থাকা একটা লোকের দিকে। যে কিনা এক দৃষ্টিতে রিদির দিকে চেয়ে আছে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে লোকটা রিদিকে চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছে। আরিশ আর দেখতে পারলো না ফোনটা ছুড়ে মারলো স্বজোরে। ভাগ্যক্রমে ফোনটা খাটের উপর পড়ায় কোনো ক্ষতি হয়নি।
রিদির সাহস দেখে আরিশ অবাক হচ্ছে। মেয়েটার সাহস কি করে হয় তার অনুমতি ছাড়া বাহিরে যাওয়ার? রাগ লাগছে খুব ইচ্ছে করছে মেয়েটার হাত পা বেঁধে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখতে।
হঠাৎ কিছু একটা মনে পড়ায় আবার নিজের ফোনটা হাতে নিলো। তাড়াতাড়ি করে মিথিলার সেই পোস্টটার ক্যাপশন পড়া শুরু করলো যেখানে লেখা রয়েছে। more....


' আমার কিছু অতি প্রিয় মানুষদের সাথে এবারের জন্মদিন পালন করলাম।
ধন্যবাদ তোদের সকলকে আমার এই জন্মদিনটাকে এতোটা বিশেষ করে তোলার জন্য'
তার নিচেই কিছু মানুষকে ট্যাগ করে দেওয়া। আরিশ লক্ষ্য করলো মিথিলা ছাড়া সেখানে উপস্থিত যে কয়জন সংখ্যক মানুষ ছিলো সে কয়জনকেই ট্যাগ করা। ভ্রু যুগল আরো খানিক কুঁচকে এলো। তার জানা মতে রিদির ফেসবুক আইডি নেই তাহলে? এখানে মিথিলা ছাড়া উপস্থিত পাঁচ জন আর এই পাঁচ জনকেই বা কিভাবে ট্যাগ দিলো সে? সন্দেহ বসোত ট্যাগ করা সাকল আইডিতে ঢুকলো সে। একে একে সবার প্রোফাইলে ঢুকতে পারলেও একজনের প্রোফাইলে ঢুকতে গিয়ে বাঁধা পড়লো। প্রোফাইল লক করা! স্পষ্ট বেঝা যাচ্ছে এটা একটা মেয়ের প্রোফাইল যার কোনো রিয়েল ছবি দেওয়া নেই কিন্তু নাম 'রিদিকা আফরোজা' দেওয়া। এটাতো রিদির নাম! তাহলে এটাই কি রিদির প্রোফাইল? সন্দেহ গাঢ় হতে লাগলো আরিশের।
সাথে সাথে ওইখান থেকে বের হয়ে তানিয়ার প্রোফাইলে ঢুকলো। কোনো কিছু না ভেবেই তার ফ্রেন্ড লিস্ট চেক করতে লাগল। কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর মিথিলার ট্যাগ করা আইডি টা পেয়েও গেলো। সন্দেহ এবার বাস্তবে রূপান্তরিত হচ্ছে যেনো।
আর এক সেকেন্ড'ও সময় অতিবাহিত না করে লাফ দিয়ে খাট থেকে নেমে হুংকার দিয়ে উঠলো।
_"তানিয়া"
বোনের এ ঘরে আসার অপেক্ষা না করেই ধুপধাপ শব্দ তুলে এগিয়ে গেল তানিয়ার ঘরের উদ্দেশ্য।
ভাইয়ের চিৎকার করে তাকে ডাকার আওয়াজ কর্ণ পাত হতেই কেপে উঠলো তানিয়া। হঠাৎ কি এমন হলো যে ভাই এভাবে হুংকার দিয়ে তার খোঁজ করছে! বুঝলো না তানিয়া। কিন্তু এতটুকু ঠিকই বুঝেছে যে আজ কিছু একটা হবে এবাড়িতে। ভয় ভয় নিয়ে আরিশের রুমে যাওয়ার জন্য উদ্যত হতেই দেখলো আরিশ হন্তদন্ত হয়ে তার রুমে ঢুকেছে।
_" ফোন কই তোর?"
আরিশের চোখ মুখ ভীষণ পরিমান লাল হয়ে আছে। বিশাল দেহটা থরথর করে কাঁপছে হাত দুটো মুষ্টিবদ্ধ করা। কপালের রগ ফুলে রয়েছে। তানিয়ার বুঝতে আর বেশি বেগ পেতে হলো না যে তার ভাই আজ ভীষণ রেগে আছে। শুষ্ক ঢোক গিলল তানিয়া।
ততক্ষণে আরিশের এমন রাগী কন্ঠস্বর শুনে রোশনি বেগম ও আমেনা নিচ থেকে ছুটে এসেছে।
আরিশ এবার ধমকে উঠলো।
_" ফোন কই?"
কেঁপে উঠলো তানিয়া সহ রোশনি বেগমের সাথে থাকা আমেনাও। তানিয়া কাঁপা কাঁপা হাতে নিজের তর্জনী তুলে খাটের উপরে রাখা তার ফোনটা দেখিয়ে দিলো। সেদিকে তাকিয়ে আরিশ সাথে সাথে ফোনটা হাতে তুলে নিলো।
ফেসবুক ওপেন করে লগ আউট অপশনে যেতেই রিদির একাউন্টটা চোখে পড়লো। তার মানে সে যা ভেবেছিলো তাই হয়েছে এটাই রিদির ফেসবুক একাউন্ট। ফোনটা তানিয়ার সামনে ধরে বলল।
_"কে খুলে দিয়েছে এটা?"
সেদিন তারাহুরোতে আইডি লগ আউট করলেও। তানিয়ার ফোন থেকে ডিলিট না করায় তা এখনো 'সুইচ ইউর একাউন্ট অপশনে' রয়ে গেছে। তানিয়ারও একবারের জন্যও খেয়ালে আসেনি এই বিষয় টা। যার দরুন রিদির অজান্তেই তার ফেসবুক একাউন্ট এখন আরিশের সামনে দৃশ্যমান।
তানিয়া বুঝে গেলো যে আজ রিদির উপর দিয়ে অনেক বড় একটা ঝড় বইতে চলেছে।
তানিয়া নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে রিদির বিষয়টা আড়াল করার চেষ্টা চালালো।
_" ভাইয়া এইটা তো আমার..."
নিজের বাকি কথাটুকু বলার আগেই গিলে ফেলল তানিয়া। ভাইয়ের অগ্নি দৃষ্টি তার দিকেই নিবদ্ধ। সে দৃষ্টি যেন তাকে বলছে তানিয়া যাতে কোনো প্রকার মিথ্যে কথা উচ্চারণ করার চেষ্টাও না করে। আরিশ সবটা জেনে গেছে তা বুঝলো তানিয়া তাই মিথ্যে বলে আর কোনো লাভ হবে না।
কাঁপা কাঁপা কন্ঠে অপরাধীর ন্যায় বলল তানিয়া।
_"আমিই খুলে দিয়েছিলাম। ওও অনেক দিন ধরে বলছিলো তাই"
আরিশ এবার ফোনটা নিজের দিকে ঘুরালো। ফোনের স্ক্রিনে দৃষ্টি রেখেই গম্ভীর কন্ঠে বলল।
_"রিদি কোথায়?"
ভয়ে কারো গলা দিয়ে টু শব্দটিও হলো না। তা দেখে আরিশ আবারো আগের ন্যায় হুংকার দিয়ে উঠল।
_"রিদি কোথায়?"
এবার আমেনা এগিয়ে আসলো ভয় ভয় কন্ঠে বলল।
_" ওতো কলেজে গিয়েছে এখনো ফেরেনি। কেন কি হয়েছে ওকি না বুঝে কোনো ভুল করে ফেলেছে?"
কোনো জবাব দিলো না আরিশ। একদিনে রিদির এতো গুলো কান্ড জানার পর রাগ তার সপ্তম পর্বে চলে গেছে। এখন শুধু রিদি আসার অপেক্ষায়।
🍀****বর্তমান****
রিদির অবস্থা এখন বেগতিক। গলা দিয়ে যেন আওয়াজ বের হওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। চোখ ঘুরিয়ে মায়ের দিকে তাকালো আমেনার চোখে এখন ভয়ের বদলে কৌতুহল বাসা বেঁধেছে। সে হয়তো বুঝে উঠতে পারছে না আরিশ কিসের কথা বলছে।
রিদির গলাটা বেশ শুষ্ক শুষ্ক লাগছে। এখন হয়তো এক গ্লাস পানি পান করতে পারলে ভালো হতো।
আরিশ যেনো রিদির মনের কথা মুখ ফুটে বলার আগেই বুঝে গেল। রিদির দিকে দৃষ্টি স্থির রেখেই তানিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলল।
_"তানিয়া, এক গ্লাস পানি নিয়ে আয়।"
ভাইয়ের আদেশ অনুযায়ী তানিয়া তৎক্ষণাৎ ডাইনিং টেবিল হতে এক গ্লাস পানি এনে কাঁ*পা কাঁ*পা হাতে রাখলো আরিশের সামনে থাকা টি-টেবিলটায়। তা দেখে আরিশ কপাল কুঁচকে তানিয়ার দিকে চেয়ে বলল।
_"মেনার্স কি সব ভুলে গিয়েছিস? দিন দিন বেয়াদব হয়ে যাচ্ছিস তুই। এখন সর সামনে থেকে।"
তানিয়াও আর দাঁড়ালো না সেখানে। আগের জায়গায় এসে মায়ের গা ঘেঁষে দাড়ালো। ফিসফিসিয়ে বলল।
_"মা ভাইয়ার এই নিস্তব্ধতা আমার ভালো ঠেকছে না। কখন না জানি কি করে বসে। তুমি ভাইয়াকে আটকাও"
রোশনি বেগম মেয়েকে ভরসা দিলো। আরিশকে কিছু বলতে যাবে তার আগেই আরিশ বিরক্তির রেশ টেনে শান্ত কন্ঠে তার উদ্দেশ্য বলে উঠল।
_"ইমম, মা দেখছো তো কথা বলছি। ডিস্টার্ব করো না আমাদের"
ছেলের কথার পাছে রোশনি বেগম আর কোনো‌ শব্দ করল না।
আরিশ শান্ত হাতে টি-টেবিলের উপরে থাকা পানি ভর্তি গ্লাসটা এগিয়ে দিলো রিদির উদ্দেশ্য। রিদি আতঙ্কিত চোখে একবার পানি ভর্তি গ্লাসটা আর একবার আরিশকে দেখে নিলো। সময় অপচয় না করে কাঁপতে থাকা ডান হাতটা বাড়িয়ে দিলো পানির গ্লাসটার উদ্দেশ্য। ধীর হাতে পানি নিয়ে পান করতে লাগলো। more......


_"বান্ধবীর জন্মদিনে অনেক মজা হয়েছে তাই না?"
হঠাৎ আরিশের মুখে এহেন কথা শুনে বিষম খেলো রিদি। মুখে থাকা পানি গুলো বেড়িয়ে এলো। কাঁশতে শুরু করলো অনবরত।
_" আহা,, আস্তে!"
আরিশ নিজ জায়গা হতে উঠে এগিয়ে রিদির সামনে দাঁড়ালো। হাত বাড়িয়ে হালকা করে চাপর দিতে লাগলো রিদির মাথায়।
_"দেখে পান করবি তো! একটা কাজও ঠিক মতো করতে পরিস না। এতোটা কেয়ারলেশ কেনো তুই?"
রিদি কাঁশতে কাঁশতেই মাথা তুলে আবাক চোখে তাকিয়ে রইল আরিশের পানে।
হঠাৎ করে মাথায় চাপর দেওয়া থামিয়ে দিলো আরিশ কন্ঠে গম্ভীর্যতা টেনে বলে উঠল আরিশ।
_"কেনো গেলি রিদি?"
চমকে উঠল রিদি সাথে ভয়ও বাড়ল। আরিশের এই ক্ষণে ক্ষণে পরিবর্তনটা ঠিক হজম করতে পারছে না।
মাথায় উপর রাখা আরিশের হাতটা আস্তে করে নেমে এলো রিদির ডান পাশের গালটায়। আলতো হাতে আগলে ধরলো গালটা।
_"আমাকে না জানিয়ে কেনো গেলি বাহিরে? তোর কি একবারের জন্যও কলিজা কাপলো না? আমি যদি জানতে পারি তাহলে তোর কি হাল হতে পারে একবারও মাথায় আসেনি এ কথা? আমি যে কি কি করতে পারি জানা ছিলো না তোর? তারপরও কেনো গেলি?"
রিদি নিরুত্তর কি করবে এখন সে? আরিশ তো সব জেনে গেছে। এখন কি হবে? নিজের ভাগ্যেকে দিককার জানালো সে। কি ভাগ্য তার! জীবনে একবার সাহস দেখিয়ে আরিশের চোখ ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করেছিলে তাও এতো বাজে ভাবে ফেঁসে গেলো!
ভয়ে কান্নারা কেমন যেন দলা পাকিয়ে আসছে বারবার চেষ্টা চালালো তা আটকে রাখার। কিন্তু অবাধ্য কান্নাগুলোকে আটকে রাখা গেলো না।
চোখের র্কণিশ বেয়ে এক ফোঁটা জল গড়িয়ে পড়ল তা দেখা মাত্রই রিদির গালে রাখা আরিশের হাতটা শক্ত হয়ে এলো। সরিয়ে ফেলল তা রিদির গাল থেকে।
তারপর হঠাৎ ঠাস করে একটা শব্দ তুলে স্বজোরে থাপ্পড় মারলো রিদির নরম গালে।
চড়ের প্রকাপ এতই ছিলো যে রিদির ছোট্ট শরীরটা টাল সামলাতে না পেরে সোফায় উপুড় হয়ে পড়ল। ভয়ে ব্যাথায় ফুঁপিয়ে উঠলো তাৎক্ষণাৎ।
আরিশের মধ্যে এখন আর আগের মত শান্ত ভাবটা নেই।কেমন যেনো হিংস্রতা প্রকাশ পাচ্ছে তার মধ্যে। রাগে থরথর কাঁপছে।
_"আরিশ..."
রিদিকে থাপ্পড় খেতে দেখে এগিয়ে আসতে চাইলো রোশনি বেগম। আরিশকে থামানোর উদ্দেশ্য কিছু বলতে যাবে তার আগেই আরিশ তার দিকে অগ্নি চোখে চেয়ে ক্ষ্যাপা বাঘের ন্যায় গর্জে উঠল।
_" খবরদার এক পাও কেউ এদিকে বাড়াবে তো একে আজ আমি খুন করে তারপর ছাড়বো।"
সামনে এগোনের আর সাহস করলো না কেউ।
রোশনি বেগম হতে দৃষ্টি সরিয়ে ফের রিদির দিকে চাইল আরিশ। সোফায় উপুর হয়ে পরে থাকা রিদি এক বাহু হেঁচকা টান দিয়ে দাঁড় করালো। এক করাঘাত সামাল দেওয়ার আগেই আরো একটা থাপ্পর এসে পড়লো রিদির গালে। এবারো পড়ে যেতে নিলো কিন্তু তার আগেই আরিশ তার বাহু ধরে ফেলল। এক হাতে বাহু ও অন্য হাতে শক্ত করে চেপে ধরলো রিদির চোয়াল ।
হিসহিসিয়ে বলে উঠল।
_"খুব উড়তে শিখেছিস তাই না? ডানা গজিয়েছে তাই তো। আজ যদি তোর এই ডানা আমি না কাটাতে পারি তবে আমার নামও আরিশ শাহারিয়া নয়।"
চলবে.....
{ ভুল ত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন। গল্পটি যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে বেশি বেশি করে রেসপন্স করবেন।

5

No comments:

720

Powered by Blogger.